আমাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত যখন পরিবার মেনে নিচ্ছে না তখন কি করনীয়?

আমি একজন মেয়ে।
আমি মানসিক ভাবে খুব খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। একজন ভালো গাইডেন্স সাইকোলজিস্ট খুঁজছি কথা বলার জন্য। আমার ৪ বছরের একটা রিলেশনশিপ আছে আমরা দুজন দুজনকে খুবই ভালোবাসি। কিছু দিন আগে আমাদের জীবনে একটা অপ্রত্যাশিত খারাপ ঘটনা ঘটে। সেটা হচ্ছে পারিবারিক ভাবেই ওর সাথে আমার বিয়ে ডেট ঠিক হয়। সবার খুশিতে সবাই মিলেই ঠিক করেন। সব কিছু জানা শোনা সব কিছুই ঠিক ছিল। বর যাত্রী বাড়িতে আসার পরে কাজি ডাকতে বলার পরে হুট করে ছেলের বাবা কোন কারণ ছাড়াই বলছিলো উনাদের সময় প্রয়োজন এখনই বিয়ে হবে না। বাসায় সব আত্মীয় স্বজন সবার সামনে এই রকম একটা অবস্থা, সবাই মিলে ছেলের বাবাকে হাজার বুঝিয়ে কাজ হয়নি কি কারণে সময় লাগবে উনি কোন কারণও বলতে পারেনি। বুঝাতে বুঝাতে শেষ পর্যন্ত দুই পরিবারের কথা কাটাকাটি, হাতাহাতি খুব বাজে সিনক্রিয়েট হয়। শেষ পর্যন্ত আমাদের বিয়েটা আর হয়নি। কেউ কারো জায়গায় আর একটুও ছাড় দেয়নি। সবাই ঠিকই আছে কষ্ট পাচ্ছি আমরা দুজন। আমরা এখনো দুজন দুজনকে চাই। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই। কিন্তু কিভাবে আগাবো আর কিভাবে সবাইকে ম্যানেজ করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। দুই পরিবারের কেউ আর এ ব্যাপারে শুনতে রাজি না। রিসেন্টলি আমার জন্য বাসা থেকে পাত্র দেখতেছে কিন্তু আমিও চাইনা অন্য কোথাও বিয়ে করতে। আমরা মিউচুয়ালি কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করেছি অনেক বার। কিন্তু আমরা আলাদা হয়ে যাবো এই সিদ্ধান্ত আমরা দুজনের কেউই নিতে পারিনি, আমরা সব ম্যানেজ করে এক সাথে থাকতে চাই।
কিভাবে সবাইকে ম্যানেজ করে সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে পারবো আমার পরামর্শ প্রয়োজন।

raju akon youtube channel subscribtion

পরামর্শঃ

ধন্যবাদ জানাই আপনার কথাগুলো শেয়ার করার জন্য। আপনার কথাগুলো শুনে আমি বুঝতে পারছি যে আপনার বর্তমান অনেকটাই অনুকূলে নেই। এ অবস্থায় অনেকেরই উদ্বিগ্নতা বা মানসিক চাপ তৈরি করবেই। আপনার একজন গাইডিয়ান্স কাউন্সিলর এর সাথে কথা বলার ইনিশিয়েটিভকে সাধুবাদ জানাই। আপনার বর্তমান বয়সটি উল্লেখ করলে ভালো হতো। তারপরও আমি বুঝে নিচ্ছি আপনার বয়স ২২ থেকে ২৫ এর মধ্যে।

আপনাদের মধ্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে তা অবশ্যই আপনার দিক থেকে আপনি। এবং ছেলের পক্ষ দিয়ে ছেলে জানে। আপনারা দুজনে মিলে এ নিয়ে কি কখনো কথা বলেছেন? যদিও উল্লেখ করেছেন কথা বলেছেন তাহলে কি জন্য সমস্যা সমাধান হলো না?

ছেলের পক্ষ দিয়ে হঠাৎ করে এরকম সিদ্ধান্ত নেয়ার কি কারণ ছিল এ নিয়ে আপনারা দুজনে কথা বলতে পারেন।

যেহেতু দুজনেরই আবেগ এখানে জড়িত সুতরাং পরবর্তীতে যা কিছুই করেন না কেন। আগে আপনাদের সম্পর্কের ব্যাপারটি কোন পর্যায়ে বা কি করতে চাচ্ছেন তা মিউচুয়ালি হেপিলি কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে তারপর পরবর্তী স্টেপে যাওয়া দুজনের পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।

আমাদের পক্ষ থেকে এই যে কথাগুলো বলা হলো তা থেকে আপনি কি বুঝলেন যদি সংক্ষেপে শেয়ার করতেন। আবারো আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

তার রিপ্লেঃ

Raju Akon আমার বয়স ২৪, ওর বয়স ২৯. আমরা দুজনে কথা বলেছি অনেক বার। আসলে কি ঘটেছিল ওর বাবা কোন ভাবেই বলতে রাজি নয় তবে আমার বাসা থেকে ধারণা করেছে কেউ হয়তো খারাপ কিছু বলেছে আমার বা আমার পরিবার সম্পর্কে কিন্তু আমার বা আমার পরিবারে এমন কোন খারাপ ঘটনা নাই যার জন্য এভাবে বিয়ে ভেঙে যেতে পারে তারপরও এটাই হয়েছে। আবার ওর পরিবারও সব জেনে শুনে খোঁজ খবর নিয়েই এসেছিলেন। আমরা দুজন কথা বলেছি কিন্তু একজন আরেকজনকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারিনি কিন্তু এটা কিভাবে সমাধান করবো সেটাও আমরা বের করতে পারিনি। তাই দুজন মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোন অভিজ্ঞ সাইকোলজিস্ট এর সাথে কথা বলার। আমরা আসলে আলাদা হতে চাই না সবাই নিয়েই হ্যাপি হতে চাই আর বিয়ের ব্যাপারটা আবার আগাতে চাই।

আমার উত্তরঃ

কোন কারণ ছাড়া ছেলের বাবা এমন করছে ব্যাপার নাও হতে পারে। আর বাবা-মা এরকম সিদ্ধান্ত নেবে তা ছেলে জানবে না সেটাও কিন্তু কনফিউজিং। সমস্যাটা যদি জটিলই মনে হয় তাহলে আমিও সাজেস্ট করব একজন কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট এর কাছে কাউন্সিলিং নেয়া।

তার রিপ্লে

যা ঘটনা আমাদের এখানে আসার পর ঘটেছে। কারণ এটাই হতে পারে কেউ হয়তো এমন কিছু বলেছে যেটা উনার ভালো লাগেনি।

আমার উত্তরঃ

সমস্যাটা যদি জটিলই মনে হয় তাহলে আমিও সাজেস্ট করব একজন কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট এর কাছে কাউন্সিলিং নেয়া।

তার রিপ্লেঃ

এ ব্যাপারে আমাকে একটু হেল্প করতে পারেন? আপনি তো সাইকোলজিস্ট। আপনি কি আমাদের কে কোন হেল্প করতে পারেন? অথবা কার কাছে গেলে আমরা ভালো একটা সমাধান পাবো জানালে উপকৃত হতাম। তাহলে আমরা সরাসরি গিয়ে কথা বলবো অথবা অনলাইনে সুযোগ থাকলে এপোয়েনমেন্ট নিবো।

এরপর সে আমার কাছে কাপল কাউন্সেলিং নিয়েছিলেন এবং তারা কিছু সিদ্ধান্ত নিজের মত করে তার বাবা মাকে বুঝিয়ে ছিলেন। এরপর পরবর্তী স্টেপ গুলো হয়েছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top