নোংরা ফ্যান্টাসি ও বিকৃত মানসিকতা থেকে মুক্তি: পর্ন আসক্তি কাটিয়ে উঠার উপায়

আমি ছেলে আমার বয়স ২১। আমরা বর্তমানে অনেকেই পর্ন দেখি। এতে আমাদের ভিতর নোংরা ফ্যান্টাসি (যেমন: চেনা-অচেনা সিনিয়র/জুনিয়র যাকে তাকে নিয়ে খারাপ কিছু ভাবা, সব মেয়েদের দিকে খারাপ নজরে তাকানো ইত্যাদি) তৈরি হয়। পরবর্তীতে পর্ন না দেখলেও এই নোংরা ফ্যান্টাসি বা বিকৃত মানসিকতা বারবার চলে আসে। তখন নিজের ভিতর অতিরিক্ত অপরাধবোধ কাজ করে এবং মনে হয় আমি বাদে সবাই ভালো। তাই এক্ষেত্রে কীভাবে নিজের মানসিকতা সুস্থ রাখা যায়?

পরামর্শঃ

প্রথমেই বুঝতে হবে, আপনি একা নন:

অনেক মানুষই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা, কিন্তু সমাধান সম্ভব। আপনার অনুভূতিগুলো বোঝা এবং গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

পর্ন দেখার নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা:

পর্ন দেখার কারণে মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে, যা আসক্তি এবং বিকৃত মানসিকতা তৈরি করতে পারে। এই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

raju akon youtube channel subscribtion

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া:

আপনার সমস্যাটি গুরুতর এবং এটি সমাধানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা পেশাদার কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্টের সাহায্য নেওয়া খুবই উপকারী হতে পারে। তারা আপনাকে এই সমস্যার মূল কারণগুলো বুঝতে এবং সমাধানের পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা:

আপনার দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেমন: নিয়মিত ব্যায়াম করা, ধ্যান করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো। এগুলো আপনার মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

বিকল্প কার্যকলাপের সন্ধান:

পর্ন দেখার বদলে এমন কিছু কার্যকলাপ খুঁজে বের করুন যা আপনাকে আনন্দ দেয় এবং আপনার মনকে শান্ত রাখে। যেমন: নতুন শখ শুরু করা, বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো, বা কোনো নতুন দক্ষতা শেখা।

আত্ম-অনুশীলন:

নিজের অনুভূতি এবং চিন্তাধারার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে শিখুন। মানসিক প্রশান্তি এবং বিকল্প চিন্তার দিকে মনোনিবেশ করুন। নেতিবাচক চিন্তা আসলে, নিজেকে সেই মুহূর্ত থেকে দূরে সরিয়ে নিন এবং পজিটিভ চিন্তাগুলোর দিকে মনোযোগ দিন।

সহানুভূতি ও সংবেদনশীলতা বাড়ানো:

অন্যদের প্রতি সহানুভূতি ও সংবেদনশীলতা বাড়াতে চেষ্টা করুন। এটি আপনার মনকে নোংরা ফ্যান্টাসি থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে এবং আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়ক হবে।

সমর্থন খোঁজা:

বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের সাথে আপনার সমস্যাটি শেয়ার করুন। তাদের সমর্থন এবং ভালবাসা আপনার মনকে সুস্থ রাখতে সহায়ক হতে পারে।

সর্বোপরি, নিজের প্রতি সহানুভূতি রাখুন এবং মনে রাখুন যে প্রতিটি পরিবর্তন সময় নেয়। নিজের প্রতি ধৈর্যশীল থাকুন এবং ধীরে ধীরে আপনার মানসিকতা সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করুন।

মোঃ আসাদুজ্জমান রাজু আকন
ইমেইলঃ [email protected]
MPhil Research Fellow Part-1, Dhaka University
Counselling Psychologist
Pinel Mental Health Care Centre (PMHCC)
Hotline: 01681006726
222/1B, South Pirerbag, Mirpur-2, Dhaka -1216

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top