Phd, Mphil, Msc, Bsc করা সাইকোলজিস্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি

Phd, Mphil, Msc, Bsc করা সাইকোলজিস্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি

এমফিল হচ্ছে পিএইচডি করার পূর্বের ডিগ্রি এবং এমএসসি করার পরের ডিগ্রী। যারা এমফিল করে তারা এই বিষয়ে আরো আপডেট। তাদের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান অবশ্যই এমএস করা বা বিএসসি করা ব্যক্তি থেকে বেশি হবে।

শুধুমাত্র বিএসসি করে কেউ প্রফেশনাল সাইকোলজিস্ট হতে পারে না।

বিএসসি এবং এমএসসি করার পর প্রফেশনাল সাইকোলজিস্ট হতে পারে। এমএসসি করার ক্ষেত্রেও তাদের বিভিন্ন রকমের রিকয়ারমেন্ট থাকতে হয় যা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ডিপার্টমেন্ট  প্রদান করে। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও সাইকোলজি বিভাগ কয়েকটি বিষয়ের ওপর  প্রফেশনাল ডিগ্রি দিচ্ছে।raju akon youtube channel subscribtion

ব্রিটিশ সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী কাউকে কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট, বা ক্লিনিকাল, এডুকেশনাল, স্কুল সাইকোলজিস্ট হতে হলে চার বছরের ডিগ্রি সম্পূর্ণ করার পর দুই বছরের এমএসসি করতে হয়। যেহেতু বাংলাদেশে এক বছরের এমএসসি তাই এমএসসি করার পর এমফিল ডিগ্রী থাকতে হয়।

এমএসসি করার সময়ে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর বিভিন্ন রকমের প্লেসমেন্ট এবং ইন্টার্নশি, একাডেমিক  রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করবেন। যেমন: ডিরেক্ট ওয়ান টু ওয়ান সেশন, প্রোসেস অ্যাকাউন্ট, সুপারবেশন  আওয়ার, পার্সোনাল আওয়ার, প্রজেক্ট বা থিসিস, এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও ট্রেনিং নিতে হয়।

আরেকটু উদাহরণ দিয়ে যদি বলি: বিএসসি করার সময় ছাত্র বা ছাত্রী সাইকোলজি বা মনোবিজ্ঞানের  উপর বিভিন্ন রকমের থিওরিটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করেন।

এমএসসি করার  আরো বেশি আপডেটেড সাইকোলজির জ্ঞানসহ একটিভ লিসেনিং, এমপ্যাথেটিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং,  বিভিন্ন রকমের কাউন্সিলিং অ্যাপ্রোচ যেমন:  CBT, TA, EMDR, REBT, NLP, gastalt therapy, existential therapy ইত্যাদি সম্পর্কে থিউরিটিক্যাল এবং প্র্যাকটিকেল জ্ঞান অর্জন করেন। এর সাথে সাথে তিন মাস থেকে ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ থাকে। 

এমফিলের বিষয় বলতে গেলে এমএসসি করার সময় যা যা করতে হয় তা আরো বড় আকারে করতে হয় । কোন একজন বা একের অধিক সুপারভাইজারের আন্ডারে থেকে দুই বছরের একটি গবেষণা পরিচালনা করতে হয়। কেউ এমফিল করে থাকলে সে নিজে নিজে কোন সাইকোলজিকাল প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার দক্ষতা অর্জন করেন এবং নিজের চেম্বার করতে পারেন।

PHD করা কেউ কোন একটি ইউনিক বিষয়ের পরে  চার বছর থেকে পাঁচ বছরের গবেষণা করতে হয়। বলা যায় পিএইচডি করা মূলত নতুন কিছু উদ্ভাবন করার সময়। 

সর্বোপরি আমি বলতে চাই আপনারা যারা মানসিক সমস্যার জন্য প্রফেশনাল কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট খুঁজছেন তারা অবশ্যই তাদের প্রফেশনাল ডিগ্রি, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, যেখান থেকে পড়াশোনা করেছে, ইত্যাদি যাচাই করে নিবেন।

পরামর্শ দিয়েছেনঃ

রাজু আকন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট, এমফিল রিচার্জ ফেলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top