আমার খুব ছোট থেকেই সমস্যা শুরু হয়। এতোটা গুরুতর আকার ধারন করে, যার কারনে আমার চলাফেরা, খাওয়া, ঘুম সব কিছুতেই সমস্যা হয়। আমি একই কাজের পুনরাবৃত্তি করি বারবার।
পড়ার সময় আমার মুখস্ত হওয়ার পরও সেই লাইন বার বার পড়ি। বার বার সৃষ্টিকর্তার কাছে যে কোনো ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি। বার বার এক চিন্তা মাথায় আসতেই থাকে। যেমন আমার পরিচিত কেও মারা গেলে আমার সব সময় তা মনে পড়তে থাকে। ৬/৭ মাস যাবার পরও।
আবার ফিজিক্যাল কোনো সমস্যা না থাকারও পরও আমি নিজে ভাবতে ভাবতে আমার প্যানিক এ্যাটাক হয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আমি স্থির থাকতে পারি না ক্লাস রুমে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসগুলো ঠিক মতো স্থির হয়ে করতে পারি না আমার রিপিটিটিভ চিন্তার কারনে।
আমার সব সময়ই মনে হয় এই মুহুর্তে ভূমিকম্প হবে এবং সব ধ্বসে পড়বে। এই বাজে চিন্তার জন্য আমি পরীক্ষার আগের রাতেও পড়তে পারি না। আমার প্রতিটা মুহুর্ত কাটে অস্বস্তিতে।
আমার সব সময় মনে হয় আমার খাবারে কেও বিষ মিশাতে চায়। আমি অনেকটাই নিজেকে নিজে বুঝিয়ে ঠিক থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু আমার সাহায্য দরকার। আমি সবার মতো স্বাধীন হতে চাই।
পরামর্শ:
ধন্যবাদ আপনার কথাগুলো গুছিয়ে লেখার জন্য। আপনার স্টেটমেন্ট অনুযায়ী আপনি বর্তমানে ঠিকমতো চলাফেরা, ঘুম, খাওয়া দাওয়া করতে পারছেন না সাথে সাথে আপনার আপনার ভিতরে বিভিন্ন রকম নেতিবাচক চিন্তা হচ্ছে যা আপনার প্যানিক অ্যাটাকের মত বোধ হয়। আবার বর্তমানে মনে হয় আপনার খাবারে কেউ বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে যা একটি ক্রনিক ইলনেস এর লক্ষণ হতে পারে। আপনার দরকার হবে সঠিকভাবে একটি ডায়গনোসিস করা যা একজন সাইকিয়াটিস্ট অথবা সাইকোলজিস্ট করে থাকবেন। তারা আপনার বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে ওষুধ অথবা কাউন্সিলিং বা সাইকোথেরাপি প্রয়োজন হলে আপনাকে সাজেস্ট করবেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব সাইক্রিয়াটিস্ট অথবা একজন কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হন। এছাড়াও সেলফ হেল্প টেকনিক হিসেবে আপনি মাইন্ড ফুলনেস মেডিটেশন অথবা শ্বাসের ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন রাজু আকন, কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট ও এমফিল রিসার্চ ফেলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।