ভোররাতে পুরুষের প্রাইভেট অঙ্গ উত্তেজিত হয় কেন?

প্রায় সব পুরুষই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে ভোররাতে বা সকালে তাদের প্রাইভেট অঙ্গ উত্তেজিত অবস্থায় দেখতে পান। এটি একটি স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা বিজ্ঞানের ভাষায় “নকটর্নাল পেনাইল টামেসেন্স” (Nocturnal Penile Tumescence – NPT) নামে পরিচিত। এই ঘটনাটি কেন ঘটে, তা নিয়ে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। নিচে এর কয়েকটি প্রধান কারণ আলোচনা করা হলো।

১. REM স্লিপ (REM ঘুমের চক্র):

পুরুষের লিঙ্গ উত্তেজিত হওয়ার একটি প্রধান কারণ হলো REM (Rapid Eye Movement) স্লিপ। ঘুমের এই পর্যায়ে মস্তিষ্কে সক্রিয়তা বেড়ে যায়, এবং এই সময়ে স্বপ্ন দেখা হয়। REM ঘুমের সময় স্নায়ুর সিস্টেমের কার্যকলাপ বাড়ার কারণে প্রাইভেট অঙ্গের রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়, ফলে লিঙ্গ উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এক রাতে একজন পুরুষ কয়েকবার REM স্লিপ চক্রের মধ্য দিয়ে যায়, যার ফলে ভোররাতে লিঙ্গের উত্তেজনা বেশি দেখা যায়।

raju akon youtube channel subscribtion

২. হরমোনের প্রভাব (টেস্টোস্টেরন):

ভোররাতের দিকে পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। টেস্টোস্টেরন হলো একটি প্রাথমিক পুরুষ যৌন হরমোন, যা যৌন উত্তেজনা ও ক্ষমতার জন্য দায়ী। এই হরমোনের বৃদ্ধি ভোরবেলার দিকে বেশি থাকায় প্রাইভেট অঙ্গের উত্তেজনা বাড়তে পারে।

৩. ব্লাড সার্কুলেশন ও স্নায়বিক উত্তেজনা:

সারারাত ঘুমানোর সময় দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ হয়। রাতে ঘুমানোর সময় লিঙ্গে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বজায় রাখতে এটি মাঝে মাঝে উত্তেজিত হতে পারে। এছাড়াও, মস্তিষ্কের কিছু স্নায়বিক কার্যকলাপ লিঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।

৪. মূত্রথলির পূর্ণতা:

ভোররাতে বা সকালে মূত্রথলি পূর্ণ থাকার কারণে লিঙ্গের উত্তেজনা ঘটতে পারে। মূত্রথলিতে চাপ পড়লে স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে যৌন উত্তেজনার অনুভূতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় মূত্রত্যাগের প্রয়োজন হওয়ার কারণেও লিঙ্গ উত্তেজিত হতে পারে।

৫. যৌন উত্তেজনার প্রভাব:

কিছু পুরুষ ভোররাতে স্বপ্নে যৌন উত্তেজনার অভিজ্ঞতা লাভ করেন, যা প্রাইভেট অঙ্গের উত্তেজনার কারণ হতে পারে। এই যৌন উত্তেজনার স্বপ্ন (যা সাধারণত REM স্লিপের সময় ঘটে) লিঙ্গে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে উত্তেজিত অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।

৬. স্বাস্থ্য ও যৌন ক্ষমতার সূচক:

ভোররাতে প্রাইভেট অঙ্গের উত্তেজনা থাকা পুরুষদের যৌন ক্ষমতা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকার একটি সূচক। এই ধরনের উত্তেজনা পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যকে প্রমাণ করে এবং এটি প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়।

৭. বয়স ও যৌন ক্রিয়াশীলতা:

বয়স অনুযায়ী ভোররাতের উত্তেজনার মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত যুবক ও মধ্যবয়সী পুরুষদের মধ্যে এই ঘটনা বেশি দেখা যায়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এই উত্তেজনা কিছুটা কমে যেতে পারে।

উপসংহার:

ভোররাতে পুরুষের প্রাইভেট অঙ্গের উত্তেজনা একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া, যা স্বাস্থ্যকর ও স্বাভাবিক যৌন ক্ষমতার লক্ষণ। REM স্লিপ, টেস্টোস্টেরনের বৃদ্ধি, এবং স্নায়বিক কার্যকলাপ এর প্রধান কারণ। এটি পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দেয় এবং দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top