বাচ্চাদের হার্টের ছিদ্র, যা সাধারণত “Congenital Heart Defect” (জন্মগত হৃদরোগ) নামে পরিচিত, তখন ঘটে যখন শিশুর হৃদপিণ্ড গঠনের সময় কোনো ত্রুটি থেকে যায়। এটি জন্মগত সমস্যা এবং শিশুর জন্মের আগেই গর্ভের ভ্রূণ অবস্থায় বিকশিত হয়। হার্টের ছিদ্রের প্রধান দুটি ধরনের ত্রুটি রয়েছে:
- এট্রিয়াল সেপটাল ডিফেক্ট (ASD): হার্টের দুটি ওপরের চেম্বারের মধ্যে ছিদ্র।
- ভেন্ট্রিকুলার সেপটাল ডিফেক্ট (VSD): হার্টের নিচের দুটি চেম্বারের মধ্যে ছিদ্র।
বাচ্চাদের হার্টের ছিদ্র হওয়ার কারণ:
- জেনেটিক বা বংশগত কারণ: বংশগতভাবে এই সমস্যাটি হতে পারে। যদি পরিবারের কারো আগে হৃদরোগ থাকে বা হার্টের ছিদ্র থাকে, তাহলে শিশুর এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্য:
- মায়ের গর্ভাবস্থায় ভাইরাল সংক্রমণ (যেমন রুবেলা বা জার্মান মিজেলস) হলে, শিশুর হৃদযন্ত্র বিকাশে ত্রুটি হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস, বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের গঠনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- মায়ের ধূমপান, মদ্যপান বা ড্রাগস গ্রহণ হৃদযন্ত্রের ছিদ্র হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- জেনেটিক ডিসঅর্ডার:
- ডাউন সিনড্রোম সহ কিছু জেনেটিক সমস্যার কারণে হৃদযন্ত্রের বিকাশে জটিলতা হতে পারে, যা হার্টের ছিদ্রের কারণ হতে পারে।
- প্রসবের সময়কাল:
লক্ষণ:
- শিশুদের ক্ষেত্রে হার্টের ছিদ্র ছোট হলে কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট, খাওয়ার সময় কষ্ট, অতিরিক্ত ঘামা, ওজন কমে যাওয়া, এবং ফোলা পা বা পেট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা:
- ছোট ছিদ্রগুলো অনেক সময় বাচ্চার বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যায় এবং এর জন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
- বড় ছিদ্র হলে সার্জারি বা ক্যাথেটার পদ্ধতি ব্যবহার করে ছিদ্র বন্ধ করতে হয়।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চেকআপ এবং একলোকার্ডিওগ্রাম (ECG) পরীক্ষার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।