প্যাকেটের কোন দুধ ভালো: সঠিক দুধ বাছাইয়ের পরামর্শ

প্যাকেটের দুধ কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান, কোন ব্র্যান্ডের দুধ ভালো এবং স্বাস্থ্যকর। প্যাকেটের দুধ সাধারণত প্রক্রিয়াজাত এবং পাস্তুরিত থাকে, যা বেশ কিছু সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়। তবে ব্র্যান্ড নির্বাচন, পুষ্টিগুণ এবং প্রক্রিয়াজাত পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে দুধের গুণমান পরিবর্তিত হয়।

প্যাকেটের দুধের ধরন:

  1. পাস্তুরিত দুধ: পাস্তুরিত দুধ হলো এমন দুধ যা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গরম করে জীবাণুমুক্ত করা হয়। এটি সংরক্ষণে নিরাপদ এবং সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য প্যাকেটজাত হয়।
  2. ইউএইচটি (UHT) দুধ: এই দুধ দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করার জন্য উচ্চ তাপমাত্রায় প্রসেস করা হয়। এটি কয়েক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় এবং এয়ারটাইট প্যাকেটে পাওয়া যায়।
  3. ফুল ফ্যাট এবং লো ফ্যাট দুধ: যারা পূর্ণ ফ্যাট যুক্ত দুধ খেতে পছন্দ করেন, তারা ফুল ফ্যাট দুধ বেছে নিতে পারেন। অন্যদিকে, ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য লো ফ্যাট দুধ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

    raju akon youtube channel subscribtion

ভালো প্যাকেটের দুধ চেনার উপায়:

  1. উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ: দুধ কেনার আগে অবশ্যই উৎপাদনের তারিখ এবং মেয়াদ শেষের তারিখ দেখে নিন। ফ্রেশ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ না এমন দুধ কেনাই ভালো।
  2. নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড: বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড রয়েছে যারা প্যাকেটজাত দুধ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করে। যেমন:
    • আরং ডেইরি (Aarong Dairy)
    • প্রাণ (Pran)
    • মিল্ক ভিটা (Milk Vita)
    • ফ্রেশ (Fresh)

    এসব ব্র্যান্ডের দুধের মান নিয়ন্ত্রিত এবং বিশ্বস্ত।

  3. পুষ্টিগুণের তথ্য: প্যাকেটের গায়ে থাকা পুষ্টিগুণের তথ্য দেখে নিশ্চিত হতে হবে, এতে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য ভিটামিন রয়েছে কি না। যারা বিশেষ পুষ্টি প্রয়োজন, তাদের জন্য ফোর্টিফাইড দুধ ভালো হতে পারে।
  4. ভেজালমুক্ত সনদ: ব্র্যান্ডটির ভেজালমুক্ত সনদ আছে কিনা তা জেনে নিন। বাংলাদেশে বিএসটিআই (BSTI) অনুমোদন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
  5. গন্ধ ও স্বাদ: প্যাকেটের দুধ গরম করার পর কোনো খারাপ গন্ধ বা স্বাদের পরিবর্তন হলে তা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

প্যাকেটের দুধের সুবিধা:

  1. নিরাপদ ও সহজলভ্য: প্রক্রিয়াজাত দুধে জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষিত থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। এটি যেকোনো সময় সহজে পাওয়া যায় এবং সংরক্ষণে সুবিধাজনক।
  2. পুষ্টিগুণ: প্যাকেটের দুধে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, এবং ভিটামিন ডি থাকে যা হাড় ও শরীরের সঠিক বিকাশে সহায়ক।

সতর্কতা:

  1. দীর্ঘ সময় সংরক্ষিত দুধ কেনার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
  2. সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি না মানলে দুধের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  3. অতিরিক্ত প্রসেসড বা ফ্লেভারযুক্ত দুধের পরিবর্তে সাধারণ দুধ বেছে নিন।

📌 ঠিকানা:

পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

📞 ফোন: ০১৬৮১০০৬৭২৬।

✎ রাজু আকন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top