গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়েরই ইচ্ছা থাকে একটি সুস্থ ও সুন্দর শিশুর জন্ম দেওয়ার। তবে, শিশুর গায়ের রং মূলত জেনেটিক দ্বারা নির্ধারিত হয়, যার উপর খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব কম। তবুও, কিছু খাবার রয়েছে যা মায়ের স্বাস্থ্যকে সমৃদ্ধ করে এবং শিশুর ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার সম্ভাবনা বাড়ায়। গর্ভাবস্থায় মায়ের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ শিশুর সুস্থ বিকাশে সহায়ক হতে পারে। আসুন জেনে নিই কিছু খাবার সম্পর্কে যা গর্ভাবস্থায় খেলে বাচ্চার ত্বক ভালো হতে পারে।
১. দুধ ও দুধজাতীয় পণ্য
দুধে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি, যা শিশুদের হাড় ও ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করলে এটি শিশুর ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। এছাড়া, দই এবং পনিরও খেতে পারেন, যা গর্ভাবস্থায় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
২. সাদা বাদাম (আলমন্ড)
সাদা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং প্রোটিন রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় মায়ের ত্বক এবং শিশুর ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন কিছু সাদা বাদাম খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে পারে।
৩. ফলমূল
ফলমূল, বিশেষ করে কমলা, আঙুর, পেঁপে, এবং আপেল গর্ভাবস্থায় খেলে শিশুর ত্বকের জন্য ভালো হতে পারে। এগুলোতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
৪. ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিন বি১২ রয়েছে, যা শিশুর ত্বকের সঠিক গঠন ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে ৩-৪টি ডিম খাওয়া ভালো।
৫. গাজর
গাজরে রয়েছে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। গাজরের রস বা সালাদ হিসেবে গাজর খেলে শিশুর ত্বকের রং ভালো হতে পারে।
৬. নারকেল পানি
নারকেল পানি গর্ভাবস্থায় শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখে এবং ত্বককে ফর্সা রাখতে সহায়ক হতে পারে। এটি শরীরের টক্সিন দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।
৭. বীজ ও বাদাম
বীজ ও বাদামে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শিশুর ত্বকের বিকাশে সাহায্য করে। বিশেষ করে আখরোট এবং তিলের বীজ খেলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো হয়।
গর্ভাবস্থায় শিশুর গায়ের রং সম্পূর্ণভাবে জেনেটিক দ্বারা নির্ধারিত হয়, তবে মায়ের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ শিশুর ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে। সুষম খাদ্যগ্রহণ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম শিশুর সুস্থ বিকাশে সহায়ক। তবে, গর্ভাবস্থায় যেকোনো খাদ্যগ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।