পিঠের রগে টান লাগা (muscle strain) সাধারণত অতিরিক্ত পরিশ্রম, ভারি জিনিস তোলা, পিঠের ভুল ভঙ্গি বা আকস্মিক কোনো মুভমেন্টের কারণে হতে পারে। এটি অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আরাম পাওয়া যায়।
পিঠের রগে টান লাগলে করণীয়:
- আরাম করুন:
- পিঠের রগে টান লাগলে প্রথম কাজ হচ্ছে বিশ্রাম নেওয়া। বেশি নড়াচড়া বা ভারি কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। তবে অতিরিক্ত বিশ্রামেও পিঠের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, তাই কিছুটা হালকা হাঁটাচলা করুন।
- বরফ বা ঠাণ্ডা সেক:
- ব্যথা হওয়ার প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বরফের সেক দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর। এটি প্রদাহ কমায় এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- ১৫-২০ মিনিট ধরে দিনে কয়েকবার ঠাণ্ডা সেক দিন।
- গরম সেক:
- ৪৮ ঘণ্টা পর গরম সেক দিতে পারেন। এটি মাংসপেশির শিথিলকরণে সাহায্য করবে। গরম পানি দিয়ে সেক দিতে পারেন, অথবা গরম সেঁকা ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
- ম্যাসাজ:
- হালকা তেল দিয়ে (যেমন: সরিষার তেল বা নারকেল তেল) মাংসপেশির ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পেশির টান কমাতে সাহায্য করে।
- হালকা স্ট্রেচিং:
- হালকা স্ট্রেচিং করলে মাংসপেশির ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ে। তবে স্ট্রেচিং করার সময় খুব বেশি চাপ না দিয়ে আস্তে আস্তে করতে হবে।
- ওষুধ গ্রহণ:
- প্রচণ্ড ব্যথার ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শে পেইনকিলার ওষুধ যেমন: প্যারাসিটামল বা ইবুপ্রোফেন খাওয়া যেতে পারে। এ ধরনের ওষুধ ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
- সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা:
- বসার সময় সোজা হয়ে বসা উচিত, পিঠে কোনো ধরনের চাপ না দিয়ে। কাজ করার সময়ও সঠিক ভঙ্গিতে থাকা জরুরি।
- হালকা ব্যায়াম:
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
- যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বাড়তে থাকে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দীর্ঘস্থায়ী পিঠের ব্যথা কোনো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে, যেমন: ডিস্কের সমস্যা বা স্নায়ুর চাপ।
পিঠের রগে টান লাগার প্রতিরোধ:
- ভারী জিনিস তুলতে হলে সঠিক পদ্ধতিতে তুলুন (মোড়ানো অবস্থায় নয়)।
- নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করে পিঠের মাংসপেশি মজবুত করুন।
- কাজের সময় পিঠের সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখুন।
- পিঠের উপর অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে নিয়মিত বিশ্রাম নিন।