চোখে কেতুর হওয়া মানে চোখের উপরের অংশে শ্বেতকায়া বা কনজাংটিভায় একটি ছোট সাদা বা হলুদাভ স্তর দেখা দেয়। এই সমস্যা বেশিরভাগ সময়ে কোনো ব্যথা সৃষ্টি না করলেও এটি একটি অস্বস্তিকর এবং অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি করে। এটি সাধারণত ধুলাবালি, শুষ্কতা, বা এলার্জির কারণে হয় এবং প্রায়ই চোখে জ্বালা, লালচে ভাব, এবং চুলকানি দেখা দেয়।
চোখে কেতুর হলে কিছু প্রতিকার এবং যত্নের উপায় আছে, যা আপনাকে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
চোখে কেতুর হওয়ার কারণ
চোখে কেতুর হওয়ার কয়েকটি সাধারণ কারণ হলো:
- ধুলাবালি ও দূষণ: ধুলাবালি এবং দূষণের কারণে চোখে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা কেতুরের সৃষ্টি করে।
- শুষ্ক আবহাওয়া: চোখে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না থাকলে শুষ্কতা দেখা দেয়, যা কেতুর তৈরি করতে পারে।
- চোখের এলার্জি: কোনো রাসায়নিক পদার্থ বা এলার্জির কারণে চোখে কেতুর হতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিশ্রম: অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম বা দীর্ঘ সময় ধরে বই পড়া চোখের শুষ্কতা ও জ্বালা তৈরি করতে পারে, যা কেতুরের কারণ হতে পারে।
চোখে কেতুর হলে করণীয়
১. চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন
চোখের কেতুরের সমস্যায় চোখের শুষ্কতা কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চক্ষু ড্রপ ব্যবহার করা উচিত। এটি চোখের শুষ্কতা ও জ্বালা কমাতে সাহায্য করবে এবং চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
২. চোখ বিশ্রাম দিন
দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনের দিকে তাকানো বা চোখের অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কেতুর হতে পারে। তাই চোখকে কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম দিতে হবে। ২০ মিনিট কাজের পর অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য দূরে তাকানো উচিত।
৩. পর্যাপ্ত জল পান করুন
চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল থাকা জরুরি। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত, যা শরীর এবং চোখকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে।
৪. চোখ ঘষবেন না
কেতুরের সমস্যা হলে চোখে চুলকানি হতে পারে, কিন্তু চোখ ঘষা উচিত নয়। এতে ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে এবং সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
৫. ঠান্ডা পানির পট্টি ব্যবহার করুন
চোখে শীতল পানির পট্টি লাগালে চোখের জ্বালা এবং শুষ্কতা কমে। এটি চোখের স্বস্তি দান করতে পারে এবং কেতুরের সমস্যায় উপকার দিতে পারে।
৬. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
যদি কেতুরের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক আপনাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ বা চিকিৎসা নির্দেশনা দিতে পারবেন।
চোখে কেতুর হওয়া একটি অস্বস্তিকর সমস্যা হলেও, সঠিক যত্ন এবং চিকিৎসা নিলে এটি সহজেই প্রতিকার করা সম্ভব। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, জল পান এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চললে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। দীর্ঘমেয়াদী কেতুরের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
📌 ঠিকানা:
পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।