মৃত্তিকা বেশ কিছুদিন ধরে পাইলসের সমস্যায় ভুগছিলেন। যেকোনো খাবার খেলেই তার পেট ভারী লাগে এবং অসহ্য কষ্ট অনুভব করেন। যখন তিনি এই সমস্যাটি নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেন, তখন ডাক্তার তাকে পরামর্শ দিলেন কিছু খাবার বাদ দিতে। ডাক্তার বললেন, পাইলসের মতো রোগে খাবারের বড় ভূমিকা থাকে, এবং কিছু খাবার বাদ দিলে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হতে পারে।
মৃত্তিকা জানতে চাইলেন, পাইলস হলে কী কী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। ডাক্তার তাকে নিচের তালিকাটি দিলেন:
- মশলাদার খাবার
মরিচ, গোলমরিচ, বা অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার পাইলসের কষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ধরনের খাবার পায়খানা করার সময় আরও বেশি কষ্টকর করে তোলে। - রেড মিট
গরু বা খাসির মাংস খেলে হজম হতে অনেক সময় লাগে এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সৃষ্টি করতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য পাইলসের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়। - প্রসেসড খাবার
ফাস্ট ফুড, চিপস, বেকড পণ্য, এবং প্যাকেটজাত খাবারগুলোতে আঁশের পরিমাণ খুব কম থাকে এবং এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ হতে পারে। পাইলস হলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। - অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি
অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন কেক, মিষ্টি, এবং চকলেট পেটের জন্য ভালো নয়। এগুলো হজমে সমস্যা করে এবং প্রায়শই পাইলসের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। - অ্যালকোহল
অ্যালকোহল পান করলে শরীরের জলশূন্যতা হয়, যার ফলে পায়খানা কঠিন হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এটি পাইলসের সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে। - ভাজাপোড়া খাবার
ভাজাপোড়া বা তৈলাক্ত খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং পাইলসের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। - দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করতে পারে, যা পাইলসের সমস্যাকে বাড়িয়ে দেয়। তাই দুধ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডাক্তার শেষমেশ মৃত্তিকাকে বললেন, “খাবারটা শরীরের যত্ন নেওয়ার মূল উপায়। তুমি যদি তোমার খাবার তালিকা থেকে এইসব খাবার বাদ দিতে পারো, তাহলে পাইলসের কষ্ট অনেকটা কমে যাবে। আর সঙ্গে প্রচুর পানি পান ও আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।” মৃত্তিকা তার পরামর্শ মেনে চলে এবং কিছুদিন পরই তার শরীরের উন্নতি লক্ষ্য করে।