বাচ্চাদের সুজি খাওয়ালে কি হয়

সুজি (সেমোলিনা) বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সহজপাচ্য খাবার হিসেবে বিবেচিত। এটি সাধারণত ৬ মাস বা তার বেশি বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হয়, যখন তারা কঠিন খাবার খেতে শুরু করে। সুজিতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে, যা শিশুর বৃদ্ধির জন্য উপকারী। এটি সহজেই হজম হয় এবং বাচ্চার পেটকে দীর্ঘ সময় ধরে ভরাট রাখে।

সুজির পুষ্টিগুণ

সুজি মূলত গম থেকে প্রস্তুত করা হয় এবং এতে রয়েছে:

  • শর্করা: যা শিশুর এনার্জির চাহিদা পূরণ করে।
  • প্রোটিন: বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • ফাইবার: শিশুর হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
  • ভিটামিন ও খনিজ: সুজিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ভিটামিন (যেমন বি ভিটামিন) এবং খনিজ (যেমন লৌহ), যা শিশুর সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

বাচ্চাদের জন্য সুজি খাওয়ার উপকারিতা

১. সহজ হজমযোগ্য

সুজি খুবই সহজে হজম হয়, তাই এটি ছোট শিশুদের জন্য আদর্শ। নতুন খাওয়া শিখতে থাকা শিশুদের পেটের উপর চাপ কমিয়ে হজমে সাহায্য করে।

raju akon youtube channel subscribtion

২. এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়ক

সুজিতে প্রচুর শর্করা রয়েছে, যা শিশুদের দৈনন্দিন কার্যকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জি সরবরাহ করে। সকালের নাস্তায় সুজি দিলে শিশুরা সারাদিনের কার্যকলাপে সতেজ থাকে।

৩. পেট ভরাট রাখে

সুজির শর্করা ধীরে ধীরে পচে যায়, যার ফলে এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরাট রাখে এবং শিশুকে ঘন ঘন খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

৪. হাড় ও দাঁতের গঠন

সুজিতে থাকা ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য মিনারেল শিশুর হাড় এবং দাঁতের গঠনে সাহায্য করে, যা তার শারীরিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য।

৫. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সুজি সহায়ক। এটি পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত ক্যালোরি দেয় না, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।

সুজি খাওয়ানোর সময় সতর্কতা

১. এলার্জি পরীক্ষা: গমজাত খাবারে এলার্জি থাকলে সুজি খাওয়ানো এড়িয়ে চলতে হবে। ২. পরিমাণে নজর রাখা: অত্যধিক পরিমাণে সুজি খাওয়ালে শিশুর পেটে অস্বস্তি হতে পারে, তাই এটি পরিমিতভাবে খাওয়ানো উচিত। ৩. চিনি বা মিষ্টিজাতীয় উপাদান এড়িয়ে চলা: সুজি রান্না করার সময় অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ শিশুর দাঁতের সমস্যা হতে পারে।

কীভাবে বাচ্চাদের সুজি খাওয়াবেন

বাচ্চাদের জন্য সুজি দিয়ে সহজে তৈরি করা যায় এমন খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুজি খিচুড়ি, সুজি পায়েস, সুজি হালুয়া ইত্যাদি। এই খাবারগুলোতে দুধ, ফলমূল, এবং ঘি যোগ করে পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়।

বাচ্চাদের সুজি খাওয়ালে তারা পুষ্টিকর খাবারের সুবিধা পায় এবং সহজেই হজম করতে পারে। এটি তাদের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য উপযুক্ত খাবার। তবে সুজি খাওয়ানোর সময় এলার্জির দিকে নজর রাখা এবং চিনি বা অতিরিক্ত ফ্যাট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

📌 ঠিকানা:

পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

📞 ফোন: ০১৬৮১০০৬৭২৬।

✎ রাজু আকন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top