প্রবাসে জীবনযাপন করার সিদ্ধান্ত একজন ব্যক্তির জীবনে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। নতুন দেশ, নতুন সংস্কৃতি, এবং পরিচিত পরিবেশের অনুপস্থিতি প্রবাসীদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা প্রবাসীদের সম্মুখীন হতে পারে এমন কিছু মানসিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব।
একাকিত্ব এবং নিঃসঙ্গতা
- পরিবার ও বন্ধুদের থেকে দূরে থাকা:
- প্রবাসে থাকা মানে পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে দূরে থাকা। এই দূরত্ব অনেকের মধ্যে একাকিত্ব এবং নিঃসঙ্গতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
- সামাজিক সাপোর্টের অভাব:
সংস্কৃতিগত শক (Cultural Shock)
- নতুন সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নেওয়া:
- নতুন দেশে নতুন সংস্কৃতি এবং জীবনের ধারা বুঝতে এবং মানিয়ে নিতে অনেক সময় এবং প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এই মানসিক চাপ এবং হতাশা সৃষ্টি করতে পারে।
- ভাষাগত বাধা:
- নতুন ভাষা শেখা এবং ভাষাগত বাধা অতিক্রম করা অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে, যা সামাজিক এবং পেশাগত জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে।
কাজের চাপ এবং কর্মক্ষেত্রের স্ট্রেস
- উচ্চ প্রত্যাশা:
- প্রবাসে কাজ করার সময় অনেকের মধ্যে কর্মক্ষেত্রের উচ্চ প্রত্যাশা এবং কাজের চাপ থাকতে পারে, যা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
- কাজের স্থিতিশীলতার অভাব:
- নতুন দেশে কাজের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার অভাব অনেকের মধ্যে উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।
অর্থনৈতিক চাপে
- উচ্চ জীবনযাত্রার ব্যয়:
- নতুন দেশে জীবনের উচ্চ ব্যয় এবং অর্থনৈতিক চাপ অনেকের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
- পরিবারের দায়িত্ব:
- প্রবাসে কাজ করা অনেকের জন্য তাদের পরিবারের জন্য অর্থনৈতিক দায়িত্ব পালন করার চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন এবং সমর্থন
- পেশাদার পরামর্শ:
- মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হলে পেশাদার পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রবাসীদের জন্য অনলাইন কাউন্সেলিং একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
- সমর্থন গোষ্ঠী:
- প্রবাসী সমর্থন গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত হওয়া এবং অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে।
- জীবনযাত্রার পরিবর্তন:
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
উপসংহার
প্রবাসে জীবনযাপন করার সময় মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। একাকিত্ব, সংস্কৃতিগত শক, কাজের চাপ, এবং অর্থনৈতিক চাপ প্রবাসীদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া এবং পেশাদার পরামর্শ নেওয়া এই সমস্যাগুলি অতিক্রম করতে সহায়ক হতে পারে।
Writer:
Raju Akon, MPhil-DU, Counselling Psychologist at PMHCC.