পেটে বাচ্চা আসার লক্ষণ

গর্ভধারণের শুরুর দিকে কিছু শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়, যা গর্ভাবস্থার ইঙ্গিত দেয়। গর্ভধারণের লক্ষণগুলো প্রত্যেক মহিলার ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে, তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যা বেশিরভাগ মহিলাই অভিজ্ঞতা করেন।

পেটে বাচ্চা আসার প্রাথমিক লক্ষণ:

১. মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া:

  • গর্ভধারণের অন্যতম প্রথম এবং সাধারণ লক্ষণ হলো মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া। মাসিকের সময় পেরিয়ে গেলেও মাসিক না হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকতে পারে।

২. বমিভাব ও বমি:

  • অনেক মহিলাই গর্ভধারণের প্রথম কয়েক সপ্তাহে বমিভাব অনুভব করেন, যা “মর্নিং সিকনেস” নামে পরিচিত। তবে এটি সারাদিনও হতে পারে।

৩. স্তনে ফুলে যাওয়া ও ব্যথা:

  • গর্ভধারণের প্রথম দিকেই স্তন ফুলে যায় এবং ব্যথা বা সংবেদনশীলতা বাড়ে। এই পরিবর্তন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়।

৪. বারবার প্রস্রাবের প্রয়োজন:

  • গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই মহিলারা প্রায়শই প্রস্রাবের চাপ অনুভব করেন, যা হরমোনের পরিবর্তন এবং জরায়ুর বৃদ্ধির কারণে ঘটে।

৫. ক্লান্তি:

  • গর্ভধারণের প্রথম দিকে মহিলাদের মধ্যে অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হয়। শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ার ফলে ক্লান্তি বেড়ে যায়।

৬. ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া বা কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ:

  • গর্ভাবস্থায় মহিলারা নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে পারেন বা কিছু খাবারের প্রতি বিরক্তি অনুভব করতে পারেন।

৭. পেটে সামান্য ব্যথা বা টান:

  • গর্ভধারণের শুরুতে পেটে হালকা ব্যথা বা টান অনুভব হতে পারে, যা জরায়ুর বিস্তারের কারণে হয়।

৮. মুড সুইংস বা মানসিক পরিবর্তন:

  • হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মুড সুইংস হতে পারে। কখনও হাসি, কখনও কান্না বা হতাশা হতে পারে।

৯. হালকা রক্তপাত (ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং):

  • কিছু মহিলার ক্ষেত্রে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সামান্য রক্তপাত হতে পারে, যা ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং নামে পরিচিত।

১০. গন্ধের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা:

  • গর্ভধারণের শুরুতে গন্ধের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা বেড়ে যায়, ফলে কিছু গন্ধ সহ্য করতে কষ্ট হতে পারে।

পেটে বাচ্চা আসার নিশ্চিতকরণ:

উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলো দেখে গর্ভধারণের ধারণা পাওয়া গেলেও, গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা উচিত। এছাড়াও, ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভধারণ নিশ্চিত করা যায়।

raju akon youtube channel subscribtion

গর্ভধারণের লক্ষণগুলো শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলোকে নির্দেশ করে। এগুলো দেখা মাত্রই দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া উচিত, যাতে গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় যত্ন নেওয়া যায়।

📌 ঠিকানা:

পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

📞 ফোন: ০১৬৮১০০৬৭২৬।

✎ রাজু আকন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top