Substance Intoxication একটি সাধারণ মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা, যা নেশাজাতীয় পদার্থের অতিরিক্ত সেবনের ফলে সৃষ্ট হয়। এই অবস্থায় ব্যক্তি অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারেন এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হয়। সঠিক থেরাপি এবং আত্ম-সহায়তা কৌশল ব্যবহার করে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
Substance Intoxication এর কারণসমূহ
Substance Intoxication-এর প্রধান কারণ হলো নেশাজাতীয় পদার্থের অতিরিক্ত সেবন। কিছু নির্দিষ্ট কারণ এই অবস্থার প্রবণতা বাড়াতে পারে:
- অতিরিক্ত ডোজ গ্রহণ: একক সময়ে অতিরিক্ত পরিমাণে মাদকদ্রব্য সেবন Substance Intoxication এর প্রধান কারণ।
- মাদকদ্রব্যের মিশ্রণ: বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য একসাথে সেবন করলে শরীরের উপর অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
- নিয়মিত ব্যবহার: নিয়মিত এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং অল্প পরিমাণেও ইন্টক্সিকেশন হতে পারে।
- শারীরিক অবস্থা: ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে Substance Intoxication-এর ঝুঁকি বাড়তে পারে, যেমন ডিহাইড্রেশন বা অপুষ্টি।
Substance Intoxication এর লক্ষণসমূহ
Substance Intoxication-এর লক্ষণগুলো নেশাজাতীয় পদার্থের প্রকারভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে:
- মনোযোগ এবং চিন্তায় সমস্যা: ব্যক্তি সঠিকভাবে চিন্তা করতে পারে না এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হয়।
- চলাফেরায় সমস্যা: শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারা, চলাফেরায় অস্বাভাবিকতা।
- বাচনভঙ্গি এবং আচরণে অস্বাভাবিকতা: বাচনভঙ্গিতে অস্পষ্টতা এবং আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়।
- অতিরিক্ত উত্তেজনা বা বিষণ্ণতা: নেশাজাতীয় পদার্থের প্রভাবে ব্যক্তি অত্যন্ত উত্তেজিত বা বিষণ্ণ হতে পারেন।
- শারীরিক লক্ষণ: শ্বাসকষ্ট, হৃদস্পন্দনের বৃদ্ধি বা হ্রাস, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা ইত্যাদি।
Substance Intoxication এর জন্য সিবিটি থেরাপির সেলফ-হেল্প টেকনিক
১. আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি (Increasing Self-Awareness)
- কীভাবে কাজ করে: Substance Intoxication-এর ঝুঁকি কমাতে আত্ম-সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মাদকদ্রব্যের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- নিজের উপর প্রয়োগ: প্রতিদিনের অভ্যাসগুলো পর্যালোচনা করুন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন কোন পরিস্থিতিতে আপনি মাদকদ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট হন। সেই অনুযায়ী সচেতন থাকুন।
২. কগনিটিভ রিফ্রেমিং (Cognitive Restructuring)
- কীভাবে কাজ করে: নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বাসগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোকে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন করা।
- নিজের উপর প্রয়োগ: নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং ভাবুন “আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি”। নেতিবাচক চিন্তা যেমন “এটি ছাড়া আমি থাকতে পারি না” পরিবর্তন করে লিখুন “আমি মাদক ছাড়াই ভালো থাকতে পারি।”
৩. ইমোশন রেগুলেশন (Emotion Regulation)
- কীভাবে কাজ করে: আবেগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে Substance Intoxication-এর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করা।
- নিজের উপর প্রয়োগ: যখনই আপনি মাদকদ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট হন বা আবেগপ্রবণ হন, তখন ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং আপনার মনকে স্থির করার চেষ্টা করুন।
৪. বিহেভিয়ারাল অ্যাক্টিভেশন (Behavioral Activation)
- কীভাবে কাজ করে: মাদকদ্রব্যের প্রতি আকর্ষণ কমাতে নতুন কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজেকে ব্যস্ত রাখা।
- নিজের উপর প্রয়োগ: প্রতিদিন একটি করে নতুন কার্যকলাপের পরিকল্পনা করুন, যেমন ব্যায়াম করা, বই পড়া, বা সৃজনশীল কিছু করা।
৫. গ্রাউন্ডিং টেকনিক (Grounding Techniques)
- কীভাবে কাজ করে: Substance Intoxication-এর সময় ব্যক্তি প্রায়ই বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গ্রাউন্ডিং টেকনিক বাস্তব মুহূর্তে ফিরিয়ে আনতে সহায়ক।
- নিজের উপর প্রয়োগ: যখনই আপনি ইন্টক্সিকেশন অনুভব করেন, তখন চারপাশের পাঁচটি জিনিসের দিকে মনোযোগ দিন এবং সেগুলোর নাম বলুন। এটি আপনার মনকে বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
৬. রিলাপ্স প্রতিরোধ পরিকল্পনা (Relapse Prevention Planning)
- কীভাবে কাজ করে: মাদকদ্রব্যের পুনরায় ব্যবহার প্রতিরোধের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা।
- নিজের উপর প্রয়োগ: রিলাপ্স প্রতিরোধের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন এবং সংকটকালীন মুহূর্তে তা অনুসরণ করুন। এতে আপনার সমর্থনকারী বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের বিকল্প রাখুন।
উপসংহার
Substance Intoxication একটি গুরুতর অবস্থা, তবে সঠিক থেরাপি এবং আত্ম-সহায়তা কৌশল ব্যবহার করে এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সিবিটি থেরাপির বিভিন্ন টেকনিক যেমন আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধি, কগনিটিভ রিফ্রেমিং, এবং ইমোশন রেগুলেশন আপনাকে এই অবস্থার সাথে মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে। নিয়মিত অনুশীলন এবং সচেতনতার মাধ্যমে আপনি Substance Intoxication থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।