Schizophreniform disorder কি? এবং এর জন্য সিবিটি থেরাপির কিছু টেকনিক যা নিজের উপরে এপ্লাই করা যায়

Schizophreniform Disorder কি?

Schizophreniform Disorder হল একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যা স্কিজোফ্রেনিয়ার মতো লক্ষণ প্রদর্শন করে, কিন্তু সময়ের দিক থেকে কম স্থায়ী হয়। স্কিজোফ্রেনিফর্ম ডিসঅর্ডার সাধারণত এক থেকে ছয় মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই অবস্থায় ব্যক্তি হ্যালুসিনেশন, বিভ্রান্তিকর চিন্তা, এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতার মতো লক্ষণ অনুভব করেন।

Schizophreniform Disorder-এর লক্ষণ

Schizophreniform Disorder-এর প্রধান লক্ষণগুলো হল:

  1. হ্যালুসিনেশন: এমন কিছু দেখা, শোনা, বা অনুভব করা যা বাস্তবে নেই।
  2. বিভ্রান্তিকর চিন্তা: অসংলগ্ন বা অদ্ভুত চিন্তাভাবনা এবং কথাবার্তা।
  3. ভ্রান্ত বিশ্বাস: বাস্তবতার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বাস ধারণা করা।
  4. সামাজিক বিচ্ছিন্নতা: লোকজন থেকে দূরে থাকা এবং সামাজিক বা পেশাগত কর্মকাণ্ডে সমস্যা।
  5. আচরণগত অস্বাভাবিকতা: আচরণগত অস্বাভাবিকতা বা বিশৃঙ্খল আচরণ।

raju akon youtube channel subscribtion

Schizophreniform Disorder এর জন্য সিবিটি থেরাপির কিছু টেকনিক

Cognitive Behavioral Therapy (CBT) Schizophreniform Disorder মোকাবিলার জন্য একটি কার্যকরী পদ্ধতি হতে পারে। নিম্নলিখিত সিবিটি টেকনিকগুলি ব্যক্তি নিজের উপর প্রয়োগ করতে পারেন:

১. চিন্তার পুনর্বিবেচনা (Cognitive Restructuring)

ব্যক্তি নিজেদের বিকৃত চিন্তা বা ভুল বিশ্বাস চিহ্নিত করে এবং সেগুলিকে বাস্তবসম্মত চিন্তায় পরিবর্তন করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ:

  • “আমি সবসময় ব্যর্থ হব” এই চিন্তাটিকে চ্যালেঞ্জ করা এবং এর পরিবর্তে চিন্তা করা, “আমি অতীতে ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু আমি এখন উন্নতির চেষ্টা করছি।”

২. বাস্তবতার যাচাই (Reality Testing)

ব্যক্তির বিভ্রান্তিকর চিন্তা বা হ্যালুসিনেশনগুলি সত্য কি না তা যাচাই করার জন্য কার্যকরী।

উদাহরণস্বরূপ:

  • যখন কোনও বিভ্রান্তিকর চিন্তা আসে, তখন তাকে বাস্তবতার নিরিখে যাচাই করে দেখা যে, এই চিন্তাটি সত্যি কি না।

৩. সমস্যা সমাধান (Problem-Solving)

ব্যক্তি তাদের দৈনন্দিন জীবনে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিত করে এবং সেগুলির সমাধান খুঁজে বের করার জন্য পরিকল্পনা করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ:

  • যদি কোনও সামাজিক মিটিং নিয়ে উদ্বেগ থাকে, তাহলে তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং কীভাবে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায় তা ভাবা।

৪. রিলাক্সেশন টেকনিক (Relaxation Techniques)

শারীরিক এবং মানসিক চাপ কমাতে রিলাক্সেশন ব্যায়ামগুলি করা।

উদাহরণস্বরূপ:

  • গভীর শ্বাস নেওয়া, ধন, বা প্রগতিশীল পেশী শিথিলকরণের (progressive muscle relaxation) মতো রিলাক্সেশন টেকনিকগুলি ব্যক্তির মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৫. মননশীলতা (Mindfulness)

মননশীলতা চর্চা করে ব্যক্তি তাদের বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে এবং অস্থির চিন্তাগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ:

  • প্রতিদিনের কাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখা এবং বর্তমান মুহূর্তে থাকার চেষ্টা করা, যা মানসিক অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

উপসংহার

Schizophreniform Disorder একটি জটিল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও সঠিক সিবিটি টেকনিকগুলি প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যক্তি নিজের অবস্থার উন্নতি করতে পারেন। উপরের টেকনিকগুলি নিয়মিতভাবে চর্চা করলে মানসিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top