Schizoaffective disorder কি? এবং এর জন্য সিবিটি থেরাপির কিছু টেকনিক যা নিজের উপরে এপ্লাই করা যায়

Schizoaffective Disorder কি?

Schizoaffective Disorder হল একটি জটিল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেখানে ব্যক্তি স্কিজোফ্রেনিয়া এবং মেজাজ সংক্রান্ত রোগের (যেমন: বিষণ্নতা বা বাইপোলার ডিসঅর্ডার) লক্ষণগুলো একসাথে অনুভব করেন। এই অবস্থায় ব্যক্তিরা কখনও কখনও হ্যালুসিনেশন, বিভ্রান্তিকর চিন্তা, এবং মেজাজের চরম পরিবর্তন (উচ্চ বা নিম্ন) অনুভব করেন।

Schizoaffective Disorder-এর লক্ষণ

Schizoaffective Disorder-এর প্রধান লক্ষণগুলো হল:

  1. হ্যালুসিনেশন: এমন জিনিস দেখা, শোনা, বা অনুভব করা যা বাস্তবে নেই।
  2. বিভ্রান্তিকর চিন্তা: ব্যক্তির চিন্তাগুলো অসংলগ্ন, এবং কথোপকথনের সময় অদ্ভুত বা অস্বাভাবিক মন্তব্য করতে পারেন।
  3. মেজাজের পরিবর্তন: অত্যন্ত বিষণ্নতা (ডিপ্রেশন) বা উচ্চ মেজাজ (ম্যানিয়া)।
  4. বিশৃঙ্খল আচরণ: আচরণগত অস্বাভাবিকতা বা অসঙ্গতি।
  5. নিজেকে দূরে রাখা: সামাজিক এবং পেশাগত জীবনে সমস্যা, একাকিত্ব, বা জনসাধারণ থেকে দূরে থাকা।

Schizoaffective Disorder এর জন্য সিবিটি থেরাপির কিছু টেকনিক

Cognitive Behavioral Therapy (CBT) Schizoaffective Disorder মোকাবিলার জন্য একটি কার্যকরী পদ্ধতি হতে পারে। নিচের সিবিটি টেকনিকগুলো ব্যক্তি নিজের উপর প্রয়োগ করতে পারেন:

১. চিন্তার পুনর্গঠন (Cognitive Restructuring)

এই টেকনিকটি বিকৃত চিন্তা বা ভুল বিশ্বাসগুলো চিহ্নিত করে সেগুলিকে বাস্তবসম্মত চিন্তায় রূপান্তর করতে সাহায্য করে।

উদাহরণস্বরূপ:

  • “সবাই আমার বিরুদ্ধে” এই চিন্তাটিকে চ্যালেঞ্জ করা এবং তার পরিবর্তে যুক্তিযুক্ত চিন্তা করা যে, হয়তো কিছু মানুষ আমার সাথে একমত নয়, কিন্তু তা মানেই সবাই আমার বিরুদ্ধে নয়।

২. মেজাজ মনিটরিং (Mood Monitoring)

নিজের মেজাজের পরিবর্তনগুলি ট্র্যাক করা এবং এগুলির সাথে সংযুক্ত চিন্তা ও আচরণ চিহ্নিত করা।

উদাহরণস্বরূপ:

  • প্রতিদিনের মেজাজের পর্যবেক্ষণ এবং তার ভিত্তিতে কাজ করার চেষ্টা করা যাতে মন খারাপ হলে তা চিহ্নিত করে মোকাবিলা করা যায়।

৩. বাস্তবতার যাচাই (Reality Testing)

ব্যক্তি বাস্তবতার সঙ্গে তাদের হ্যালুসিনেশন বা বিভ্রান্তিকর চিন্তাগুলিকে যাচাই করতে শিখতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ:

  • যখন কোনও হ্যালুসিনেশন বা বিভ্রান্তিকর চিন্তা আসে, তখন সেই চিন্তাটিকে বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যে, এটি সত্যি কি না।

৪. মননশীলতা (Mindfulness)

মননশীলতা চর্চার মাধ্যমে ব্যক্তি বর্তমান মুহূর্তে থাকতে এবং তাদের অস্থির চিন্তা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

উদাহরণস্বরূপ:

  • শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম বা ধ্যানের মাধ্যমে বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ রাখা।

৫. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা (Problem-Solving Skills)

এই টেকনিকটি ব্যক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিত করতে এবং সেগুলি সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।

উদাহরণস্বরূপ:

  • যদি কোনও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ হয়, তবে তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং কীভাবে তার মোকাবিলা করা যায় তা ভাবা।

উপসংহার

Schizoaffective Disorder একটি চ্যালেঞ্জিং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও সঠিক সিবিটি টেকনিকগুলির সাহায্যে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। উপরোক্ত টেকনিকগুলি ধৈর্য ও নিষ্ঠার সাথে নিজের জীবনে প্রয়োগ করলে মানসিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top