বাচ্চাদের মাথার ত্বক খুবই কোমল ও সংবেদনশীল। তাই তেল দেওয়া খুব সাবধানতার সাথে করতে হবে। নিয়মিত তেল ব্যবহার করলে শিশুর চুল মজবুত হয় এবং ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এছাড়া, তেল চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক।
নিচে বাচ্চাদের মাথায় তেল দেওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
১. সঠিক তেল নির্বাচন:
প্রথমেই সঠিক তেল নির্বাচন করতে হবে। বাচ্চাদের মাথার ত্বকের জন্য কিছু উপকারী তেল হলো:
- নারকেল তেল: চুলে পুষ্টি যোগায় এবং গোড়া মজবুত করে।
- অলিভ অয়েল (জলপাই তেল): চুল নরম করে এবং দ্রুত বৃদ্ধি করে।
- আলমন্ড অয়েল (বদাম তেল): পুষ্টি জোগায় ও চুলের শুষ্কতা দূর করে।
২. তেল হালকা গরম করে দেওয়া:
তেল দেওয়ার আগে হালকা গরম করুন। তবে, অতিরিক্ত গরম করা উচিত নয়। হালকা গরম তেল দ্রুত চুলের গোড়ায় প্রবেশ করে এবং পুষ্টি জোগায়।
৩. আলতো করে মালিশ করুন:
তেল দেওয়ার সময় মাথায় হালকা হাতে আলতো করে মালিশ করতে হবে। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়া শক্তিশালী হয়। বাচ্চার ত্বকে অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে হাতের আঙ্গুল দিয়ে মালিশ করুন।
৪. নিয়মিত তেল দেওয়া:
বাচ্চাদের মাথায় সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার তেল দেওয়া উচিত। তেল দিলে ত্বক ও চুলে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় থাকে। তবে অতিরিক্ত তেল দেওয়া বাচ্চার জন্য ভালো নয়।
৫. তেলের পর শ্যাম্পু করা:
তেল দেওয়ার ২-৩ ঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করা ভালো। বাচ্চার ত্বকের জন্য মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত, যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
৬. চুল আঁচড়ানো:
তেল দেওয়ার পরে হালকা চিরুনি দিয়ে বাচ্চার চুল আঁচড়ে নিন। এতে তেল সঠিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং চুলের জট কমে যায়।
উপকারিতা:
- তেল চুলে পুষ্টি জোগায়।
- চুল মজবুত ও সুন্দর হয়।
- শুষ্কতা দূর হয়।
- চুলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়।
বাচ্চাদের মাথায় তেল দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি এবং নিয়ম মেনে চলা উচিত। সঠিক তেল এবং আলতো মালিশ বাচ্চাদের মাথার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তাই নিয়মিতভাবে তেল দেওয়া বাচ্চার মাথার জন্য খুবই উপকারী।