দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধে করণীয়

দাঁতের মাড়ির ক্ষয় বা গাম রিসেশন (Gum Recession) এমন একটি সমস্যা, যা সময়মতো প্রতিকার না করলে দাঁত ও মুখের অন্যান্য অংশে সমস্যা তৈরি করতে পারে। দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হলে দাঁতের শিকড় বেরিয়ে পড়ে এবং দাঁতে সংবেদনশীলতা ও ইনফেকশন দেখা দেয়। দাঁতের মাড়ি ক্ষয় প্রতিরোধে কিছু সঠিক অভ্যাস ও যত্ন নেয়া প্রয়োজন।

দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ের কারণ:

  1. অসুস্থ ও অযত্নে থাকা মাড়ি: মাড়ি স্বাস্থ্যকর না থাকলে ক্ষয় হতে শুরু করে।
  2. খারাপ ব্রাশিং পদ্ধতি: খুব শক্তভাবে বা সঠিক নিয়মে ব্রাশ না করলে মাড়ির ক্ষতি হয়।
  3. জিনজিভাইটিস (Gingivitis): দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হলে এটি ক্ষয় হতে পারে।
  4. দাঁতের ফাঁক ও প্লাক: দাঁতের ফাঁকে জমা হওয়া প্লাক ও ব্যাকটেরিয়া মাড়ির ক্ষয় বাড়ায়।
  5. অত্যধিক তামাক ও মদ্যপান: তামাক ও মদ দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
  6. হারমোনাল পরিবর্তন: মহিলাদের ক্ষেত্রে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মাড়ি দুর্বল হতে পারে।
  7. দাঁতে অতিরিক্ত চাপ (Bruxism): দাঁতে চাপ দিলে মাড়ির ক্ষয় হতে পারে।
  8. বয়সজনিত সমস্যা: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মাড়ি দুর্বল হতে পারে।

    raju akon youtube channel subscribtion

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধে করণীয়:

১. সঠিক ব্রাশিং পদ্ধতি অনুসরণ:

  • দিনে দুইবার নরম ব্রিসল ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন। খুব জোরে ব্রাশ করবেন না, এতে মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২. মুখ পরিষ্কার রাখা:

  • খাবারের পরে মুখ ধোয়ার অভ্যাস করুন এবং দাঁতের ফাঁকে ফাঁসে খাবার আটকে থাকলে তা ফ্লস দিয়ে পরিষ্কার করুন।

৩. মেডিকেটেড মাউথওয়াশ ব্যবহার:

  • গাম রিসেশনের প্রতিরোধে বিশেষ মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে, যা মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করবে।

৪. দাঁতের প্লাক নিয়ন্ত্রণ:

  • নিয়মিত দাঁতের প্লাক পরিষ্কার করতে ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন।

৫. খাদ্যাভ্যাস:

  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলা, আমলকি খেলে মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়া প্রচুর পানি পান করুন।

৬. তামাক ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন:

  • তামাক ও মদ মাড়ির ক্ষতি করে, তাই এগুলো থেকে বিরত থাকুন।

৭. দাঁতের রক্ষাকবচ (Mouthguard):

  • যদি দাঁতে চাপ দেয়ার সমস্যা থাকে (Bruxism), তাহলে বিশেষ Mouthguard ব্যবহার করতে পারেন।

৮. ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন:

  • দাঁতের মাড়ির সমস্যায় ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না। প্রয়োজন হলে গাম গ্রাফটিং বা অন্যান্য চিকিৎসা প্রয়োগ করা হতে পারে।

চিকিৎসা:

যদি মাড়ির ক্ষয় বেশি হয়ে যায়, তাহলে দাঁতের ডাক্তার প্লাক পরিষ্কার, স্কেলিং ও রুট প্ল্যানিং এর মাধ্যমে ক্ষয় প্রতিরোধের চেষ্টা করতে পারেন। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে গাম গ্রাফটিং বা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

📌 ঠিকানা:

পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

📞 ফোন: ০১৬৮১০০৬৭২৬।

✎ রাজু আকন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top