মুখে ফোড়া বা পিম্পল একটি সাধারণ সমস্যা, যা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ বা ত্বকের তৈলাক্ততার কারণে হতে পারে। ফোড়া হলে ব্যথা, লালচে ভাব এবং ফোলাভাব দেখা দেয়। এর সঠিক যত্ন না নিলে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। নিচে মুখে ফোড়া হলে কিছু প্রতিকার ও চিকিৎসা উপায় উল্লেখ করা হলো।
মুখে ফোড়ার কারণ:
- ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
- হরমোনের পরিবর্তন
- ত্বকের অতিরিক্ত তেল উৎপাদন
- অনিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা
- অপরিষ্কার হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ করা
- মানসিক চাপ
মুখে ফোড়া হলে করণীয়:
১. গরম পানির সেঁক:
- একটি পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে ফোড়ার উপর কিছুক্ষণ ধরে রাখলে প্রদাহ কমে ও ব্যথা উপশম হয়।
২. টি ট্রি অয়েল:
- টি ট্রি অয়েল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে। এটি তুলায় নিয়ে সরাসরি ফোড়ার উপর লাগালে সংক্রমণ কমে এবং ফোড়া দ্রুত শুকিয়ে যায়।
৩. মুলতানি মাটি ও গোলাপজল:
- মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ফোড়ার উপর লাগালে প্রদাহ ও ফোলাভাব কমে।
৪. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম:
- ডাক্তার পরামর্শ দিলে ফোড়ার জন্য অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম বা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ফোড়ার ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দ্রুত সারাতে সহায়ক।
৫. হাত দিয়ে ফোড়া স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা:
- ফোড়া কুটতে বা ফাটাতে যাওয়া উচিত নয়। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে এবং মুখে দাগও পড়তে পারে।
৬. মধু ও হলুদ:
- মধু ও হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ফোড়ার উপর সামান্য মধু ও হলুদের মিশ্রণ লাগালে প্রদাহ কমে এবং ফোড়া দ্রুত সেরে ওঠে।
৭. তুলসী পাতা:
- তুলসী পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে ওই পানি দিয়ে মুখ ধুলে ফোড়ার প্রদাহ ও সংক্রমণ কমে যায়।
মুখে ফোড়া প্রতিরোধের উপায়:
- প্রতিদিন পরিষ্কারভাবে মুখ ধোয়া
- তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
- ত্বকের পরিচর্যার জন্য সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার করা
- পর্যাপ্ত পানি পান করা
- হরমোন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া
চিকিৎসা:
যদি মুখে ফোড়া বেশি বড় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, ডাক্তার এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিতে পারেন। যদি ফোড়া খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয় বা ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়, তাহলে চিকিৎসক শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে ফোড়ার পূঁজ বের করে দিতে পারেন।
📌 ঠিকানা:
পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।