আসসালামু -আলাইকুম।
আমি প্রায় গত একবছর যাবত OCD সমস্যায় ভুগছি। OCD এর ধরন পরিবর্তন হয় প্রতিনিয়ত। বর্তমানে ধর্মীয় OCD এ আছি। সবসময় নেতিবাচক চিন্তা আসে যা আমি কখনোই ভাবতে চাই না। ভাবতে থাকি অনেক বড় পাপ চিন্তা করে ফেলেছি,আর তওবা করতে থাকি। তারপর ও ভয়ে প্রচন্ড প্যানিক করে, যার ফলে বুক ধড়ফড় করে, হার্টবিট বেড়ে যায়, বুকে চাপ অনুভব হয়, হালকা ব্যাথা করে, মাথায় চাপ পড়ে, বমি আসতে চায়। আবার কিছুক্ষণ পরে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। এভাবেই চলছে। আমার অনেক কষ্ট হয়। আমার সামনে এডমিশন পরীক্ষা। এই সমস্যার কারণে ঘুম, খাওয়া- দাওয়া, পড়ালেখা ঠিক মতো করতে পারিনা।
তাছাড়া আমার প্রচন্ড মৃত্যুভাতি , আশঙ্কাজনক ভীতি ও অহেতুক চিন্তা আছে। মনে হয় এই বুঝি আমার অনেক বড় কিছু হয়ে যাবে।কেউ অসুস্থ হলে আমার অহেতুক চিন্তা আসে। যার ফলে অনেক অস্থিরতা হয়, প্যানিক করে,বুক কাঁপতে থাকে, বুকে ব্যাথা হয়।মাথায় প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয়। মনে হয় মাথা ছিঁড়ে যাবে।
OCD এর কারণে আমার অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারিনা। আমি স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাই। আমাকে একটু সাহায্য করুন। আমি এখনো কোনো সাইকোলজিস্ট দেখাইনি। আমার এই সমস্যা পরিবারের কারো সাথে শেয়ার করি নাই।
আমি কারো সাথে আমার সমস্যার কথা শেয়ার করতে চাই। আমাকে কেউ সাহায্য করতে পারবেন ?
পরামর্শ :
আপনাকে ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নটি করার জন্য। ওসিডি একটি নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার। এই ডিসঅর্ডারের বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা রয়েছে। কাউন্সিলিং বা সাইকোথেরাপি এবং মেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা পৃথিবীব্যাপী বহুল প্রচলিত। অনেক সময় সমস্যা যদি অল্প পরিমাণে থাকে তাহলে কাউন্সিলিং বা সাইকোথেরাপিতে অনেক ভালো কাজ হয়। অনেক সময় কাউন্সিলিং এবং ওষুধের চিকিৎসা দুটোরই একসাথে দরকার হয়। তবে সমস্যাটা যদি অনেক বেশি হয় তবে আপনাকে অবশ্যই ওষুধের চিকিৎসা নিতে হবে।
প্রথমে আপনাকে আপনার সাহায্য করতে হবে। এই সাহায্য হচ্ছে প্রথম ইনিশিয়েটিভ নেওয়া ও একজন সাইক্রিয়াটিস্ট বা কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট এর কাছে যাওয়া।
আপনি কোন পেশাজীবী ছাড়া অন্য কারও কাছে আপনার সমস্যাগুলো শেয়ার করলে তাতে ভালো থেকে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকতে পারে। আপনার জন্য অনেক বেশি শুভকামনা।
*রাজু আকন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট