google.com, pub-1016891184419719, DIRECT, f08c47fec0942fa0 Night Eating Syndrome কি? এবং এর জন্য সিবিটি থেরাপির কিছু টেকনিক যা নিজের উপরে প্রয়োগ করা যায় - Raju Akon

Night Eating Syndrome কি? এবং এর জন্য সিবিটি থেরাপির কিছু টেকনিক যা নিজের উপরে প্রয়োগ করা যায়

Night Eating Syndrome (NES) হলো একটি বিশেষ ধরনের খাওয়ার ব্যাধি যেখানে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর পরও বারবার উঠে খাওয়ার প্রবণতা দেখায়। এটি শুধুমাত্র ক্ষুধা নয়, বরং মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। NES সাধারণত ওজন বৃদ্ধি, ঘুমের সমস্যা, এবং মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই পোস্টে আমরা Night Eating Syndrome-এর কারণ, লক্ষণ, এবং এর জন্য সিবিটি (Cognitive Behavioral Therapy) থেরাপির কিছু সেলফ-হেল্প টেকনিক নিয়ে আলোচনা করব।

Night Eating Syndrome এর কারণসমূহ

Night Eating Syndrome-এর কারণসমূহ সাধারণত মানসিক ও শারীরিক উপাদানের সাথে সম্পর্কিত। কিছু সাধারণ কারণ হলো:

  1. মানসিক চাপ: দিনের বেলা মানসিক চাপ বা উদ্বেগ অনুভব করলে রাতে খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
  2. হরমোনাল অসামঞ্জস্যতা: শরীরে হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে ক্ষুধা বৃদ্ধির প্রবণতা।
  3. অবসাদ ও হতাশা: মানসিক অবসাদ বা হতাশার কারণে রাতে অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস।
  4. অনিদ্রা: ঘুমের সমস্যার কারণে রাতে খাওয়ার ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়।
  5. খাওয়ার অভ্যাস: সারাদিন অনিয়মিত খাবার খাওয়ার কারণে রাতে ক্ষুধা অনুভব।

raju akon youtube channel subscribtion

Night Eating Syndrome এর লক্ষণসমূহ

Night Eating Syndrome-এর কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

  1. রাতে অতিরিক্ত খাওয়া: রাতে ঘুমানোর পরও বারবার উঠে খাওয়া।
  2. সকালে ক্ষুধা কম থাকা: সকালে ক্ষুধা না থাকা বা কম ক্ষুধা অনুভব।
  3. খাওয়ার সময় অপরাধবোধ: রাতে অতিরিক্ত খাওয়ার পর অপরাধবোধ বা লজ্জা অনুভব করা।
  4. ওজন বৃদ্ধি: অনিয়মিত খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধি।
  5. ঘুমের ব্যাঘাত: রাতে ঘুমের সময় বারবার উঠে খাওয়ার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত।

Night Eating Syndrome এর জন্য সিবিটি থেরাপির সেলফ-হেল্প টেকনিক

১. খাদ্য ডায়েরি রাখা (Keeping a Food Diary)
  • কীভাবে কাজ করে: প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের নোট রাখা এবং খাওয়ার পরিমাণ এবং সময় নির্ধারণ করা।
  • নিজের উপর প্রয়োগ: প্রতিদিনের খাবারের সময় এবং পরিমাণ নোট করুন। রাতে খাওয়ার ইচ্ছা হলে খাদ্য ডায়েরি দেখে বুঝুন কেন আপনি খেতে চাইছেন।
২. মাইন্ডফুলনেস প্র্যাকটিস (Mindfulness Practice)
  • কীভাবে কাজ করে: খাওয়ার সময় এবং খাওয়ার পর কী অনুভূতি হয়, তা মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা।
  • নিজের উপর প্রয়োগ: রাতে খাওয়ার ইচ্ছা হলে আগে একটু সময় নিয়ে নিজের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে ভাবুন। এটি খাওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করবে।
৩. রিল্যাক্সেশন টেকনিক (Relaxation Techniques)
  • কীভাবে কাজ করে: মানসিক চাপ কমানোর জন্য বিভিন্ন রিল্যাক্সেশন টেকনিক ব্যবহার করা।
  • নিজের উপর প্রয়োগ: ঘুমানোর আগে ডিপ ব্রিদিং, মেডিটেশন, বা ধ্যানের মাধ্যমে নিজেকে রিল্যাক্স করার চেষ্টা করুন। এটি রাতের বেলা খাওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করবে।
৪. নিয়মিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা (Establishing Regular Eating Patterns)
  • কীভাবে কাজ করে: দিনের বেলা নিয়মিত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রাতে অতিরিক্ত ক্ষুধার সমস্যা কমানো।
  • নিজের উপর প্রয়োগ: দিনে তিন বেলা নিয়মিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। রাতে ক্ষুধা লাগলে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা (Planning for Nighttime Eating)
  • কীভাবে কাজ করে: রাতে খাওয়ার প্রয়োজন হলে আগে থেকেই স্বাস্থ্যকর বিকল্প খাবার প্রস্তুত রাখা।
  • নিজের উপর প্রয়োগ: রাতে খাওয়ার ইচ্ছা হলে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন এবং তার আগে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। খাবার খাওয়ার পর অন্য কিছু কাজে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন।

উপসংহার

Night Eating Syndrome একটি জটিল খাদ্য ব্যাধি, তবে সঠিক পদক্ষেপ এবং সিবিটি থেরাপির কার্যকরী টেকনিকের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। খাদ্য ডায়েরি রাখা, মাইন্ডফুলনেস প্র্যাকটিস, রিল্যাক্সেশন টেকনিক, নিয়মিত খাবার খাওয়ার অভ্যাস, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার মাধ্যমে আপনি NES-এর ঝুঁকি কমাতে পারেন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। সঠিক পদক্ষেপ নিলে আপনি Night Eating Syndrome থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top