জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বাংলাদেশের মানসিক স্বাস্থ্য সেবার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে কর্মরত ডাক্তারদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় তাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্লগে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডাক্তারদের সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হলো।
ডা. মাহমুদ হাসান, সাইকিয়াট্রিস্ট
প্রশ্ন: আপনি কিভাবে মানসিক রোগের চিকিৎসা শুরু করেন?
ডা. মাহমুদ হাসান: মানসিক রোগের চিকিৎসা শুরু করতে আমি প্রথমে রোগীর সাথে একটি বিস্তারিত আলোচনা করি। এরপর তাদের মানসিক অবস্থার প্রাথমিক মূল্যায়ন করি এবং চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করি।
প্রশ্ন: আপনি কোন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করেন?
ডা. মাহমুদ হাসান: আমি সাধারণত কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (CBT) এবং মেডিকেশন ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করি। রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করি।
প্রশ্ন: আপনার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কোন মানসিক রোগের চিকিৎসায় সবচেয়ে সফল হয়েছেন?
ডা. মাহমুদ হাসান: আমি ডিপ্রেশন এবং উদ্বেগের চিকিৎসায় সবচেয়ে সফল হয়েছি। সঠিক থেরাপি এবং ওষুধের মাধ্যমে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তানিয়া রহমান, সাইকোলজিস্ট
প্রশ্ন: মানসিক রোগের চিকিৎসায় সাইকোলজিস্টের ভূমিকা কী?
তানিয়া রহমান: মানসিক রোগের চিকিৎসায় সাইকোলজিস্টদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা রোগীদের মানসিক সমস্যা নির্ণয় করি এবং তাদের মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে সহায়ক থেরাপি প্রদান করি।
প্রশ্ন: আপনি কোন থেরাপি পদ্ধতি ব্যবহার করেন?
তানিয়া রহমান: আমি সাধারণত ডায়ালেকটিক্যাল বিহেভিয়ার থেরাপি (DBT) এবং ইন্টারপারসোনাল থেরাপি (IPT) ব্যবহার করি। এছাড়াও, রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য থেরাপি পদ্ধতিও প্রয়োগ করি।
প্রশ্ন: আপনার কাজের কোন বিশেষ অর্জন রয়েছে কি?
তানিয়া রহমান: হ্যাঁ, আমার একজন রোগী ছিল যিনি গুরুতর ডিপ্রেশন এবং উদ্বেগে ভুগছিলেন। দীর্ঘমেয়াদি থেরাপির মাধ্যমে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং বর্তমানে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
ডা. রাশেদুল ইসলাম, শিশু ও কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
প্রশ্ন: শিশু ও কিশোরদের মানসিক রোগের চিকিৎসায় আপনার অভিজ্ঞতা কী?
ডা. রাশেদুল ইসলাম: শিশু ও কিশোরদের মানসিক রোগের চিকিৎসায় আমি অনেক অভিজ্ঞ। আমি বিশেষভাবে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে কাজ করি এবং তাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন থেরাপি পদ্ধতি ব্যবহার করি।
প্রশ্ন: কোন থেরাপি পদ্ধতি শিশু ও কিশোরদের জন্য সবচেয়ে কার্যকর?
ডা. রাশেদুল ইসলাম: কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (CBT) এবং প্লে থেরাপি শিশু ও কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে সবচেয়ে কার্যকর। এই থেরাপি পদ্ধতিগুলি তাদের মানসিক সুস্থতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
প্রশ্ন: আপনার কাজের কোন বিশেষ অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন?
ডা. রাশেদুল ইসলাম: হ্যাঁ, একটি শিশু ছিল যিনি পড়াশোনায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন এবং গুরুতর উদ্বেগে ভুগছিলেন। থেরাপির মাধ্যমে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং তার পড়াশোনায় উন্নতি করেন।
উপসংহার
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডাক্তারদের সাক্ষাৎকার থেকে বোঝা যায় যে তারা মানসিক রোগের চিকিৎসায় অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ। তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা মানসিক রোগীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে তাদের অবদান অত্যন্ত প্রশংসনীয়।