মুড সুইং হচ্ছে রাগ কন্ট্রোল করতে পারছি না

আপনি আমাকে কোশ্চেন করেছিলেন যে আমার কি কি সমস্যা এবং কিসের জন্য আমি কাউন্সিলিং নিতে যাচ্ছি তো তার উত্তর আমি এখন শুরু করতে যাচ্ছি, সেটা হচ্ছে আমার অনেকদিন ধরে মুড সুইং হচ্ছে রাগ কন্ট্রোল করতে পারছি না। রাগ কন্ট্রোলের যে ব্যাপারটা তেমন ছোট থেকে কন্ট্রোল করতে পারি না, কিন্তু যতো বড় হচ্ছি বিষয়টা আরো গুরুতর হচ্ছে আমি ছোট ছোট কথা ও সহ্য করতে পারি না এবং কিছুদিন ধরে আমার কার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে না। কেমন যেন হঠাৎ আমি আনসোশ্যাল হয়ে যাচ্ছি। নিজের ক্যারিয়ার আর ফিউচার নিয়ে অনেক বেশি ওভার থিঙ্কিং করি।

সব সময় মানুষিক একটা চাপের মধ্যে থাকি ওটা কি সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারি না, কিন্তু অস্থিরতার মতো কাজ করে। সব সময় মনে হতে থাকে যে কেউ আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, কেউ আমাকে পাত্তা দিচ্ছে না, কেউ আমাকে ভালোবাসে না, এত মোটা সেজন্য আমাকে কেউ লাইক করে না, কেউ পছন্দ করেনা, তারপর হচ্ছে আমার অতীতের যে রিলেশন সেটা নিয়েও আমি প্যারা খাচ্ছি।

raju akon youtube channel subscribtion

আমার অতীতের এক্স বয়ফ্রেন্ড আমাকে চিট করছিল এবং চিট করে আমার সাথে ঠিকমত ব্রেকআপও না করেই বিয়ে করে নিয়েছিলো অন্য একটা মেয়েকে, তারপর থেকে আমি একটু চুপচাপ হয়ে গেছে আর আমি সবসময় মানুষের সাথে মিশি কিন্তু সে ব্যাপারটা এখন আর নাই। তারপর হঠাৎ আমার প্যানিক অ্যাটাক হয়, কেন হয় সেটা আমি নিজেও জানিনা, আমার সমস্যা কেমনে হয়েছে বা কি সেটা জানি না, কিন্তু আমার মনে হয় আমার ওই পুরানো যেই রিলেশনশিপ টা সেটা ইফেক্ট পড়তেছে এখন আমার মধ্যে আর এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমি নিজেকে কন্ট্রোল করার অনেক চেষ্টা করি হয়তো যখন রাগ হচ্ছে আমি চুপ থাকার চেষ্টা করি, তারপর আমি অনেক চেষ্টা করছি নিজেকে চেঞ্জ করার, আমি আমার পূর্বের রিলেশনশিপ সম্পর্কে ভাববো না কিন্তু আমি এটা থেকে বের হতে পারি নাই এখনও।

আমি হচ্ছে একটা পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাইছিলাম আমার আব্বু সেখানে আমাকে ভর্তি করে নাই। আমার মধ্যে সেই রাগটা আছে যে কেন ভর্তি করলো না। আর যখন এই রাগটা আসে সাথে সাথে তখন এটাও মনে পরে যে ছোট বেলায় আমি আব্বুর কাছে সাইকেল চাইছিলাম কিন্তু সে আমাকে সাইকেল কিনে দেয়নি। তারপর কেউ যখন বলে সে পাবলিক ভার্সিটিতে পরি, তারপর সে পাবলিক ভার্সিটি থেকে চান্স পেয়ে পাস করে বের হয়েছি, তখন আমার খুব আফসোস হয়। জানিনা কেন জানি মনে হয় আমার লাইফটা অন্যরকম হতে পারতো যদি আমি পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্ট হতে পারতাম। আমি খুলনায় থাকি আমার চোখের সামনে থেকে যখন খুলনা ভার্সিটির বাস বা গোপালগঞ্জ ইউনিভার্সিটির বাসগুলো যায় আফসোস হয়।

খুব খারাপ লাগে কেন জানি মনে হয় যে আমিও পারতাম এই বাসে করে যাইতে, স্টুডেন্ট হতে, তারপর হয়তোবা আমার ক্যারিয়ার অন্যরকম হতো, আমি আর অন্য রকম ভাবে অন্য কিছু শিখতে পারতাম, যেটা আমি আমার বাবার কারণে শিখতে পারি নাই। এবং আমার যে প্রেমিক ছিল সে বিয়ে করার পরেও আমার সাথে যোগাযোগ করেছে এই জিনিসটা সে না করলেই পারত। সে আমার সাথে যোগাযোগ করেছে অন্য আইডি দিয়ে টেক্সট দিছে, কিন্তু আমি তাকে ধরে ফেলছি, ধরে ফেলার পরেও আমি অবশ্য চাইনি তার সাথে কথা বলতে কিন্তু সেই মায়া এখনো কাজ করে, আমারা আবারো পুনরায় কথাবাত্রা শুরু করি কিন্তু হঠাৎ করে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দিছে যে কারণে না আমি এখন আরো বেশি মানসিক চাপের মধ্যে আছি। আর আগে রিলেশনশিপ থেকে এখনো বের হতে পারি নাই বলে আমি সামনে অন্য কোন রিলেশনশিপের দিকে আগাতে পারতেছি না।

আগাইতে পারতেছিনা বলতে আমার অন্য কাউকে ভালো লাগে না, অন্য কাউকে যাকে ভালো লাগে সে ফ্রেন্ডজোন করে দেয় বা বোন বানায় দেয়, তখন খুব খারাপ লাগে। মানে আমি কি দেখতে এতটাই খারাপ যে আমারে ভাই বোন বানাই দেয় আবার ফ্রেন্ড বানায় দেয়। আমাকে কেন কেউ পছন্দ করবে না কি জিনিসটা মাথার ভেতর ঘুরতে থাকে। আর আমি একটু হঠাত করে অনেক বেশি হরমোনাল ইন ব্যালেন্স এর কারনে আমার এই ফ্যাট হওয়াটা। এই ফ্যাট হওয়ার কারণে হচ্ছে একটু আগে থেকে দেখতে অন্যরকম হয়ে গেছি মোটা হয়ে গেছে যেহেতু পাত্তা পাই না, কনফিডেন্স লেভেল অনেক লো হয়ে গেছে। এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য আমার আসলে কি করা উচিত আমি বুঝতেছিনা।সব কিছু মিলায়ে একটা মেন্টাল প্রেসার এর ভিতর থাকি।

আর যখন দেখি যে আমারি ফ্রেন্ডরা ভার্সিটির থেকে পাস করে মাস্টার্সে অনেকে ভর্তি হয়ে গেছে, অনেকে জব করতেছে, সেখানে আমি এখনো শেষ করতে পারি নাই, জব পাই নাই, আব্বু আম্মুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে খরচ করতে হয়, এই জিনিসটা আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে। আমার ফ্রেন্ডদের জন্য জেলাস করি তা না এ জিনিসগুলো আমার ভেতর থেকে কেমন জানি খুব খারাপ লাগে জিনিসগুলো পাচ্ছি না কেন, পারতেছি না কেন। এবং আমি যে বলেছিলাম শুরুতে যে আমার হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর কারণে আমি মোটা হয়ে যাচ্ছি, সে হরমোনাল ইমব্যালেন্সের জন্য আমি ওষুধও খাচ্ছি, আমি আসলে শুকাইতে পারছি না, ওষুধের সাইড ইফেক্ট এর কারণেই মনে হয়।

আর রাতে আমার একদম ঘুম হয় না, সারারাত জেগে থাকি। সারারাত জেগে কেমন যেনো ডিপ্রেশন ফিল হয়। ডিপ্রেশনের কারন মাঝে মাঝে আমি নিজেও বুঝতে পারি না। এটা কি নরমাল নাকি সেটা ও বুঝি না। খুব একা মনে হয় মাঝে মাঝে নিজেকে, সবার মধ্যে থেকেও নিজেকে একা লাগে। বিয়ের কথা শুনলেই কেনো যেনো খুব ভয় লাগে, তাই এখন যে বিয়ের কথা বলে তার থেকে দূরে দূরে থাকি। কেনো যেনো নিজেকে মেন্টালি unstable মনে হয়। আমি কিভাবে নিজের confidence বাড়াবো আমাকে একটু সাহায্য করুন। আমি অনেক আশা নিয়ে আপনাকে মেসেজ দিয়েছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top