গর্ভাবস্থার সময়কাল সাধারণত প্রায় ৪০ সপ্তাহ বা ৯ মাস ধরে চলে, যা গর্ভধারণের প্রথম দিন থেকে গোনা হয়। এই সময়কালের শেষে নবজাতকের জন্ম হয়। ছেলে বা মেয়ে সন্তান উভয়ের ক্ষেত্রেই গর্ভধারণের পূর্ণকাল প্রায় একই থাকে। তবে, গর্ভাবস্থার ভিন্ন পর্যায়ে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব হয় এবং সন্তানের পূর্ণ বিকাশের পরে সে জন্মগ্রহণ করে।
গর্ভাবস্থার পর্যায় ও বাচ্চার বিকাশ
গর্ভাবস্থার সময়কালকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়:
১. প্রথম ট্রাইমেস্টার (০-১৩ সপ্তাহ)
এই সময়কালের মধ্যেই বাচ্চার লিঙ্গ নির্ধারিত হয়, তবে এটি আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে সাধারণত ১৮-২০ সপ্তাহের মধ্যে জানা যায়। প্রথম দিকে ভ্রূণের দ্রুত বিকাশ ঘটে এবং সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গঠন হতে শুরু করে।
২. দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার (১৪-২৬ সপ্তাহ)
এই সময়ে বাচ্চার বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয় এবং তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো আরও পরিণত হয়। বাচ্চার লিঙ্গ আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে নির্ধারণ করা যায়।
৩. তৃতীয় ট্রাইমেস্টার (২৭-৪০ সপ্তাহ)
তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে বাচ্চার পূর্ণ বিকাশ ঘটে এবং সে জন্মের জন্য প্রস্তুত হয়। সাধারণত ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চার জন্ম হয়। তবে ৩৭ সপ্তাহের আগে বাচ্চা জন্ম নিলে তাকে প্রি-ম্যাচিউর (Premature) বলা হয়।
ছেলে বাচ্চার জন্মের সময়কাল
গর্ভের বাচ্চা ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেন, গর্ভাবস্থার স্বাভাবিক সময়কাল সাধারণত ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ। এই সময়ের মধ্যেই বাচ্চার জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে, ছেলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মেয়েদের তুলনায় তারা গর্ভের পূর্ণ সময় কাটানোর পরেই বেশি জন্ম নেয়। অর্থাৎ, ছেলেরা প্রায়ই ৪০ সপ্তাহের কাছাকাছি জন্মগ্রহণ করে, তবে এটি প্রতিটি গর্ভাবস্থায় আলাদা হতে পারে।
উপসংহার
ছেলে বাচ্চা সাধারণত ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে। তবে, এটি নির্ভর করে গর্ভাবস্থার বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর। প্রতিটি গর্ভাবস্থা অনন্য, এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছেলে বা মেয়ে সন্তানের জন্ম হতে পারে।