শিশু বা প্রাপ্তবয়স্কদের উচ্চ জ্বর হলে তা দ্রুত কমানোর জন্য অনেক সময় সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত একটি ঔষধি পদ্ধতি, যেখানে ওষুধ মলদ্বারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। অনেকেই জানতে চান, সাপোজিটরি দেওয়ার কতক্ষণ পর জ্বর কমতে শুরু করে? চলুন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি।
সাপোজিটরি কী?
সাপোজিটরি একটি ওষুধ, যা মোম বা গ্লিসারিনের মতো নরম পদার্থ দিয়ে তৈরি হয় এবং এটি শরীরের ভেতরে প্রবেশ করলে গলে যায় ও কার্যকর হয়। জ্বর কমানোর জন্য সাধারণত প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয়। এটি মুখে খাওয়ার ওষুধের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে শিশুদের জন্য।
সাপোজিটরি দেওয়ার পর জ্বর কমতে কত সময় লাগে?
সাপোজিটরি দেওয়ার পরে সাধারণত ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে জ্বর কমতে শুরু করে এবং প্রায় ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণ প্রভাব দেখা যায়। তবে এর কার্যকারিতা ব্যক্তিভেদে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
সাপোজিটরির কার্যকারিতা নির্ভর করে যেসব বিষয়ে:
- রোগীর বয়স ও ওজন:
- শিশুদের ক্ষেত্রে এটি দ্রুত কাজ করতে পারে।
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।
- জ্বরের মাত্রা:
- উচ্চ মাত্রার জ্বর থাকলে কমতে কিছুটা বেশি সময় লাগতে পারে।
- শরীরের বিপাক ক্রিয়া:
- ব্যক্তিভেদে বিপাকের হার ভিন্ন হতে পারে, যা ওষুধের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
- ওষুধের ডোজ:
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায় ওষুধ না নিলে কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
সাপোজিটরি ব্যবহারের সঠিক নিয়ম
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করুন।
- ব্যবহারের আগে হাত ধুয়ে নিন।
- শিশুর ক্ষেত্রে, তাদেরকে কাত করে শুইয়ে ধীরে সাপোজিটরি প্রবেশ করান।
- প্রসারণের পর ১০-১৫ মিনিট শুয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে এটি কার্যকর হতে পারে।
সতর্কতা
- প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাপোজিটরি ব্যবহার করা উচিত নয়।
- যদি ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে জ্বর না কমে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
- ডায়রিয়া বা মলদ্বারের কোনো সমস্যা থাকলে সাপোজিটরি ব্যবহার না করাই ভালো।
উপসংহার
সাপোজিটরি একটি কার্যকরী ওষুধ, যা মুখে খাওয়া ওষুধের তুলনায় দ্রুত কাজ করতে পারে। সাধারণত ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে জ্বর কমতে শুরু করে এবং সম্পূর্ণ প্রভাব দেখা যায় ১-২ ঘণ্টার মধ্যে। তবে এটি ব্যবহারের আগে সঠিক ডোজ ও নিয়ম মেনে চলা জরুরি।