হাতের রগের সমস্যা: কারণ ও করণীয়

হাতের রগ বা স্নায়ুর সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যা হাতের ব্যথা, দুর্বলতা, বা হাতের চলাচল সীমিত করতে পারে। এই সমস্যাটি সাধারণত স্নায়ু চাপা পড়া, রগে আঘাত, বা দীর্ঘ সময় ধরে একভাবে কাজ করার ফলে হয়ে থাকে।

হাতের রগের সমস্যার কারণ:

  • কার্পাল টানেল সিনড্রোম (Carpal Tunnel Syndrome): দীর্ঘ সময় ধরে হাতের রগে চাপ পড়ার কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে হাতের আঙুলে ঝিনঝিনি, অসাড়তা, বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
  • আঘাত বা আঘাতজনিত ক্ষতি: হাতের রগে আঘাত লেগে ব্যথা হতে পারে।
  • আরথ্রাইটিস (Arthritis): আরথ্রাইটিস বা বাতের কারণে রগে ব্যথা ও প্রদাহ হতে পারে।
  • স্নায়ু চাপে থাকা: দীর্ঘ সময় ধরে একভাবে বসে কাজ করলে হাতের রগে চাপ পড়ে এবং ব্যথা হতে পারে।
  • মাংসপেশি বা টেন্ডন ইনজুরি: মাংসপেশি বা টেন্ডন ক্ষতিগ্রস্ত হলে রগে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

    raju akon youtube channel subscribtion

হাতের রগের সমস্যার লক্ষণ:

  • হাতের আঙুল বা কব্জিতে ব্যথা
  • হাতের আঙুলে ঝিনঝিনি বা অসাড়তা
  • হাতের মুঠো বন্ধ করতে অসুবিধা
  • দীর্ঘ সময় কাজ করার পর ব্যথা বা ফোলা
  • হাতের দুর্বলতা ও চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা

হাতের রগের সমস্যা হলে করণীয়:

১. বিরতি নেয়া:

  • যদি দীর্ঘ সময় ধরে হাত ব্যবহার করেন, তাহলে মাঝে মাঝে বিরতি নেয়া প্রয়োজন। কাজের ফাঁকে হাতের রগগুলোকে আরাম দিন।

২. সঠিক ভঙ্গিতে কাজ করা:

  • হাতের রগে চাপ না পড়ে, এমন ভঙ্গিতে কাজ করুন। বিশেষ করে যারা কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকেন, তাদের সঠিকভাবে কীবোর্ড এবং মাউস ব্যবহার করা উচিত।

৩. বরফের সেঁক:

  • রগের সমস্যা হলে বরফের সেঁক দিন। এটি প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

৪. স্ট্রেচিং:

  • নিয়মিত হাতের স্ট্রেচিং করলে রগের নমনীয়তা বাড়ে এবং ব্যথা কমে।

৫. হালকা ব্যায়াম:

  • হাতের মাংসপেশি এবং রগ মজবুত করার জন্য হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ব্যায়াম করা উচিত নয়।

৬. সঠিক খাদ্যাভ্যাস:

  • রগের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, এবং ভিটামিন ডি গ্রহণ করা জরুরি। এ ধরনের খাবার রগ এবং হাড় মজবুত করে।

৭. ব্যথানাশক ওষুধ:

  • যদি ব্যথা খুব বেশি হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে পারেন।

চিকিৎসা:

যদি রগের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা হাতের কার্যক্ষমতা সীমাবদ্ধ হয়, তবে একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। চিকিৎসক আপনাকে শারীরিক থেরাপি, ইঞ্জেকশন বা কিছু ক্ষেত্রে শল্যচিকিৎসা প্রস্তাব করতে পারেন।

📌 ঠিকানা:

পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

📞 ফোন: ০১৬৮১০০৬৭২৬।

✎ রাজু আকন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top