google.com, pub-1016891184419719, DIRECT, f08c47fec0942fa0 মানসিক রোগের ঔষধ খেলে কি মানুষ মোটা হয়? - Raju Akon

মানসিক রোগের ঔষধ খেলে কি মানুষ মোটা হয়?

মানসিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অনেক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ওজন বৃদ্ধি একটি সাধারণ সমস্যা। অনেকেই মানসিক রোগের ঔষধ খাওয়ার পর শরীরের ওজন বাড়তে দেখেন, যা অনেকের মধ্যে উদ্বেগ এবং হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ব্লগ পোস্টে আমরা মানসিক রোগের ঔষধ খেলে ওজন বৃদ্ধির কারণ, কীভাবে তা মোকাবেলা করা যায়, এবং এর থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করব।

raju akon youtube channel subscribtion

ওজন বৃদ্ধির কারণ

  1. ক্ষুধা বৃদ্ধি:
    • অনেক মানসিক রোগের ঔষধ ক্ষুধা বাড়ায়, যার ফলে খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ওজন বাড়ে।
  2. মেটাবলিজম কমে যাওয়া:
    • কিছু ঔষধ শরীরের মেটাবলিজম ধীর করে দেয়, যার ফলে ক্যালোরি বার্ন কম হয় এবং ওজন বাড়ে।
  3. অ্যাক্টিভিটি লেভেল কমে যাওয়া:
    • মানসিক রোগের কারণে অনেকের মধ্যে শারীরিক কার্যক্রম কমে যায়, যা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

কীভাবে ওজন বৃদ্ধি মোকাবেলা করবেন

  1. সুষম খাদ্যাভ্যাস:
    • স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন। উচ্চ ক্যালোরি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন এবং তাজা ফল, শাকসবজি, এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান।
  2. নিয়মিত ব্যায়াম:
    • নিয়মিত ব্যায়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, এবং যোগব্যায়াম ওজন কমাতে কার্যকর হতে পারে।
  3. জলপান:
    • পর্যাপ্ত পানি পান করুন। জল শরীরের টক্সিন বের করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
  4. অ্যাক্টিভিটি মনিটরিং:
    • দৈনন্দিন শারীরিক কার্যক্রম মনিটরিং করুন এবং নিজের জন্য একটি ফিটনেস রুটিন তৈরি করুন।

ওজন বৃদ্ধির পরামর্শ

  1. ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
    • ঔষধের কারণে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে ডাক্তার আপনার ঔষধের ডোজ বা ঔষধ পরিবর্তন করতে পারেন।
  2. পুষ্টিবিদের পরামর্শ:
    • একটি পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন এবং একটি ব্যালেন্সড ডায়েট প্ল্যান তৈরি করুন।
  3. মনোযোগী থাকুন:
    • নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিন। স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট টেকনিক ব্যবহার করুন, যেমন মাইন্ডফুলনেস, মেডিটেশন, এবং রিলাক্সেশন টেকনিক।

উপসংহার

মানসিক রোগের ঔষধ খেলে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা অনেকের মধ্যে দেখা যায়। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং পেশাদার পরামর্শের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হোন এবং প্রয়োজনে পেশাদার পরামর্শ নিন।

Writer:
Raju Akon, MPhil-DU, Counselling Psychologist at PMHCC.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top