বাচ্চার খাবার খেতে সমস্যায় এই ৫ টি কাজ করুন | Parenting Tips For Autism Children’s

অনেক অটিজম আক্রান্ত শিশুদের খাবার খাওয়ার সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। খাবারের পছন্দ-অপছন্দ, টেক্সচারের সমস্যা, অথবা খাবারের সময় আচরণগত চ্যালেঞ্জগুলো অটিজম শিশুদের মধ্যে সাধারণ। পুষ্টির অভাব তাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তবে কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা যায়। এখানে ৫টি কার্যকরী টিপস রয়েছে যা অটিজম শিশুদের জন্য সহায়ক হতে পারে।

১. খাবারের টেক্সচারের সাথে পরিচিত করান:

অনেক অটিজম শিশু খাবারের টেক্সচার নিয়ে সংবেদনশীল থাকে। তাদের পছন্দের টেক্সচারের খাবার বেছে নিন এবং ধীরে ধীরে নতুন টেক্সচারের খাবারগুলো তাদের সাথে পরিচয় করান। প্রথমে একটু করে শুরু করুন এবং পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি করুন। ধীরে ধীরে এই পদ্ধতি তাদের খাবারের অভ্যাসে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে।

raju akon youtube channel subscribtion

২. ভিজ্যুয়াল টুলস ব্যবহার করুন:

অটিজম শিশুদের ভিজ্যুয়াল টুলসের মাধ্যমে খাবারের সময়সূচি বা রুটিন তৈরি করুন। খাবারের ছবি বা চার্ট তাদের সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করে। রুটিন অনুযায়ী খাবার খাওয়ার সময় তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায় এবং খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি হয়।

৩. ক্ষুদ্র লক্ষ্য নির্ধারণ করুন:

বাচ্চার জন্য বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করার পরিবর্তে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। উদাহরণস্বরূপ, তারা একবারে পুরো খাবার শেষ করতে পারে না, তবে অল্প পরিমাণে শুরু করুন। ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান এবং তাদের এই ছোট অর্জনগুলো প্রশংসা করুন।

৪. ইন্দ্রিয়গত সমস্যা পরিচালনা করুন:

অটিজম শিশুদের অনেকেই খাবারের গন্ধ, স্বাদ, রং, অথবা টেক্সচার নিয়ে সংবেদনশীল হয়। শিশুর ইন্দ্রিয়গত সমস্যাগুলো বুঝতে শিখুন এবং সেই অনুযায়ী খাবারের বৈচিত্র আনুন। হয়তো কিছু খাবার তারা মেনে নেবে না, তবে ধীরে ধীরে নতুন স্বাদ এবং গন্ধের সাথে পরিচয় করানোর চেষ্টা করুন।

৫. ইতিবাচক উৎসাহ দিন:

অটিজম শিশুদের জন্য ইতিবাচক উৎসাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের সময় তাদের নিরুৎসাহিত না করে, বরং উৎসাহ দিন। যখন তারা নতুন কোনো খাবার চেষ্টা করে, তাদের প্রশংসা করুন এবং পুরস্কৃত করুন। ইতিবাচক উৎসাহ তাদের খাবারের সময়কে আরও আনন্দদায়ক করে তুলতে পারে।

উপসংহার:

অটিজম শিশুদের খাবার খেতে সমস্যায় পড়াটা সাধারণ ব্যাপার, তবে এই ৫টি কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারেন। ধৈর্য ধরে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে এগিয়ে গেলে শিশুর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top