Compulsive Hoarding কি?
Compulsive Hoarding, যা Hoarding Disorder নামেও পরিচিত, হল একটি মানসিক স্বাস্থ্য অবস্থা যেখানে ব্যক্তি অতিরিক্ত জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন এবং তা পরিত্যাগ করতে অক্ষম হন, এমনকি সেই জিনিসপত্র তাদের কোনো কার্যকরী প্রয়োজন না মেটালেও। এই প্রবণতা ব্যক্তির জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলে এবং তাদের বাসস্থান অস্বাস্থ্যকর ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
Compulsive Hoarding-এর লক্ষণ
Compulsive Hoarding-এর প্রধান লক্ষণগুলো হল:
- অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জমা করা: এমন জিনিসপত্র সংগ্রহ করা যা ব্যবহারযোগ্য নয় বা প্রয়োজন নেই।
- পরিত্যাগ করতে অক্ষমতা: অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে চরম মানসিক অস্বস্তি বা অক্ষমতা।
- বাসস্থানের অগোছালো অবস্থা: অতিরিক্ত জিনিসপত্রের কারণে বাসস্থান অস্বাস্থ্যকর বা অনিরাপদ হয়ে ওঠা।
- সামাজিক ও পেশাগত সমস্যা: অতিরিক্ত জিনিসপত্রের কারণে সামাজিক জীবন, কাজ বা অন্যান্য কার্যক্রমে সমস্যার সৃষ্টি হওয়া।
- অতিরিক্ত আবেগ: সংগ্রহকৃত জিনিসপত্রের প্রতি অস্বাভাবিক আবেগপ্রবণতা।
Compulsive Hoarding এর জন্য সিবিটি থেরাপির কিছু টেকনিক
Cognitive Behavioral Therapy (CBT) Compulsive Hoarding মোকাবিলার একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। নিম্নলিখিত সিবিটি থেরাপির টেকনিকগুলো Compulsive Hoarding আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের উপর প্রয়োগ করতে পারেন:
১. এক্সপোজার থেরাপি (Exposure Therapy)
এক্সপোজার থেরাপির মাধ্যমে, ব্যক্তি ধীরে ধীরে তাদের হোর্ড করা জিনিসপত্রের সাথে মোকাবিলা করতে শিখে এবং সেগুলি ফেলে দেওয়ার ভয় থেকে মুক্তি পেতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ:
- ধীরে ধীরে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে একটি বা দুটি আইটেম ফেলে দেওয়া এবং সেই প্রক্রিয়ার সাথে অভ্যস্ত হওয়া।
২. চিন্তা পুনর্গঠন (Cognitive Restructuring)
এই টেকনিকটি হোর্ডিং-এর পেছনের বিকৃত চিন্তাগুলো চিহ্নিত করতে এবং সেগুলিকে আরও বাস্তবসম্মত চিন্তায় রূপান্তর করতে সাহায্য করে।
উদাহরণস্বরূপ:
- “এটি আমি ফেলে দিলে ভবিষ্যতে আমার প্রয়োজন হতে পারে” এই চিন্তাটিকে চ্যালেঞ্জ করে বুঝতে চেষ্টা করা যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই চিন্তা অযৌক্তিক।
৩. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা (Problem-Solving Skills)
এই টেকনিকটি হোর্ডিং-এর কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলি চিহ্নিত করতে এবং সেগুলির জন্য কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।
উদাহরণস্বরূপ:
- বাসস্থানের প্রতিটি অংশে কোন জিনিসগুলো রাখা উচিত এবং কোনগুলো ফেলে দেওয়া উচিত তার একটি পরিকল্পনা তৈরি করা।
৪. সচেতনতা (Mindfulness)
Mindfulness টেকনিকটি ব্যক্তি বর্তমান মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে এবং তাদের হোর্ডিং-এর প্রয়োজনীয়তা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
উদাহরণস্বরূপ:
- প্রতিবার কিছু জিনিসপত্র ফেলার সময় ধ্যান বা শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে নিজেকে শান্ত রাখা।
৫. স্ব-সংহতি বৃদ্ধি (Increasing Self-Compassion)
এই টেকনিকটি ব্যক্তি নিজের প্রতি সহানুভূতি বাড়িয়ে হোর্ডিং-এর প্রয়োজনীয়তা কমাতে সাহায্য করে।
উদাহরণস্বরূপ:
- নিজের প্রতি ভালোবাসা এবং সমর্থনের সাথে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সাথে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা করা।
উপসংহার
Compulsive Hoarding একটি জটিল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, তবে সঠিক সিবিটি থেরাপির মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। উপরোক্ত টেকনিকগুলো ধৈর্য ও মনোযোগ সহকারে প্রয়োগ করে, হোর্ডিং-এর প্রবণতাকে কমানো এবং বাসস্থানকে আরও স্বাস্থ্যকর ও সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।