ঘুমের মধ্যে গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও কিভাবে মুক্তি পাবেন?

অনেকেই ঘুমের মধ্যে গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। এটি ঘুমের মানকে প্রভাবিত করে এবং সারাদিন ক্লান্তি এনে দেয়। এই সমস্যার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ঘুমের মধ্যে গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণসমূহ

  1. ডিহাইড্রেশন: সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে শরীরে পানির অভাব হতে পারে, যা রাতে গলা শুকিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ।
  2. মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া: নাক দিয়ে শ্বাস না নিয়ে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার ফলে ঘুমের মধ্যে গলা শুকিয়ে যায়। এটি সাধারণত নাক বন্ধ থাকার কারণে ঘটে।
  3. স্লিপ এপনিয়া: স্লিপ এপনিয়া হলে ঘুমের মধ্যে শ্বাস নেওয়ার সমস্যা হতে পারে, যা গলা শুকিয়ে যাওয়ার একটি কারণ।
  4. শুষ্ক পরিবেশ: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বা গরমকালের শুষ্ক পরিবেশে ঘুমালে গলা শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  5. মেডিকেশন: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও গলা শুকিয়ে যেতে পারে।

    raju akon youtube channel subscribtion

মুক্তির উপায়

  1. পর্যাপ্ত পানি পান: সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানি পান করা উপকারী।
  2. মুখ বন্ধ করে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস: নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যদি নাক বন্ধ থাকে, তবে নাকের ড্রপ বা ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
  3. বেডরুমে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার: ঘরের বাতাস শুষ্ক হলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। এটি বাতাসের আর্দ্রতা বাড়ায় এবং গলা শুষ্কতা কমাতে সহায়ক।
  4. চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি স্লিপ এপনিয়া বা অন্য কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
  5. ওষুধ পরিবর্তন: যদি কোনো ওষুধের কারণে গলা শুকিয়ে যায়, তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ পরিবর্তন করুন।
  6. সঠিক খাদ্যাভ্যাস: ডায়েটে পানি-সমৃদ্ধ খাবার যেমন ফলমূল এবং সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক।

উপসংহার

ঘুমের মধ্যে গলা শুকিয়ে যাওয়া একটি অস্বস্তিকর সমস্যা হলেও এর সমাধান সম্ভব। ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি, মুখ বন্ধ করে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস, এবং শুষ্ক পরিবেশ থেকে রক্ষা পাওয়া গেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে। তবে যদি সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top