জিহ্বা ফাটার কারণ ও প্রতিকার

জিহ্বা ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক সময় অস্বস্তিকর বা ব্যথাজনিত হতে পারে। এটি সাধারণত স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা বা পুষ্টির ঘাটতির কারণে ঘটে।

জিহ্বা ফাটার কারণ:

১. ভিটামিনের ঘাটতি:

  • ভিটামিন বি এবং আয়রনের ঘাটতির কারণে জিহ্বা ফাটতে পারে। এই ঘাটতি মিউকাস মেমব্রেন দুর্বল করে এবং জিহ্বা শুকিয়ে যায়, ফলে ফাটার সম্ভাবনা বাড়ে।

২. ডিহাইড্রেশন:

  • শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকলে জিহ্বা শুষ্ক হয়ে যায় এবং এতে ফাটার প্রবণতা বাড়ে।

৩. এলার্জি:

  • কিছু খাবার বা ঔষধের কারণে এলার্জি হলে জিহ্বা ফাটতে পারে। এলার্জি জিহ্বায় প্রদাহ সৃষ্টি করে।

৪. হরমোনের পরিবর্তন:

  • নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা বা মাসিকের সময় হরমোনের পরিবর্তনের ফলে জিহ্বা ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:

  • কিছু ওষুধ, বিশেষত কেমোথেরাপি বা অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে জিহ্বা ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৬. মুখের শুষ্কতা (Xerostomia):

  • মুখের লালা কমে গেলে বা মুখ শুষ্ক হয়ে গেলে জিহ্বা ফেটে যেতে পারে।

জিহ্বা ফাটার প্রতিকার:

১. পানি পান করা:

  • পর্যাপ্ত পানি পান করা জিহ্বার শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে এবং ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

২. ভিটামিন বি এবং আয়রন সাপ্লিমেন্ট:

  • ভিটামিন বি (বিশেষত বি১২) এবং আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।

    raju akon youtube channel subscribtion

৩. এলার্জেন পরিহার:

  • যদি কোনো বিশেষ খাবার বা ওষুধ থেকে এলার্জি হয়, তাহলে সেই খাদ্য বা ওষুধ এড়িয়ে চলা উচিত।

৪. মাউথওয়াশ ব্যবহার:

  • অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার রাখা জিহ্বা ফাটার সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৫. চুইংগাম চিবানো:

  • চুইংগাম চিবালে মুখে লালা উৎপাদন বেড়ে যায়, যা জিহ্বা শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৬. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ:

  • পুষ্টিকর খাবার, বিশেষত শাকসবজি, ফল, এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের ভিটামিন ও মিনারেল চাহিদা পূরণ হয়, যা জিহ্বা সুস্থ রাখতে সহায়ক।

৭. ওষুধের সঠিক ব্যবহার:

  • যদি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জিহ্বা ফাটার সমস্যা হয়, তবে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধের পরিবর্তন করা যেতে পারে।

সতর্কতা:

জিহ্বা ফাটার সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, বা ফাটার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

📌 ঠিকানা:

পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

📞 ফোন: ০১৬৮১০০৬৭২৬।

✎ রাজু আকন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top