Catatonia কি?
Catatonia একটি মানসিক ও শারীরিক অবস্থার নাম, যেখানে একজন ব্যক্তি অস্বাভাবিক আচরণ প্রদর্শন করেন, যেমন অতিরিক্ত নড়াচড়া করা বা সম্পূর্ণ স্থির হয়ে থাকা। এটি সাধারণত মানসিক রোগের সাথে সম্পর্কিত হয়, বিশেষ করে স্কিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, এবং বড় ধরনের বিষণ্নতার সাথে। ক্যাটাটোনিয়া ব্যক্তি একধরনের নিস্তেজতা, শক্ত, এবং স্থবির অবস্থায় চলে যেতে পারে, যেখানে তারা কথাবার্তা বলতে পারে না বা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না।
Catatonia-এর লক্ষণ
- Mutism (নীরবতা): রোগী কথা বলা বন্ধ করে দেন এবং আশেপাশের কারো সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেন না।
- Stupor (স্থবিরতা): রোগী একদম স্থির হয়ে থাকে এবং কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না।
- Catalepsy: একজন ব্যক্তি তার শরীরের কোনো একটি অংশ একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে স্থির করে রাখেন।
- Waxy flexibility: রোগীকে যে কোনো অবস্থানে রেখে দিলে, সে সেই অবস্থানেই থেকে যায়, যেন তার শরীর মোমের মতো নমনীয়।
- Negativism: কোনো নির্দেশ বা অনুরোধে প্রতিক্রিয়া দেখানোর পরিবর্তে উল্টো কাজ করা।
- Echolalia বা Echopraxia: অন্যের কথা বা কাজ হুবহু অনুকরণ করা।
Catatonia-এর জন্য সিবিটি থেরাপির কিছু টেকনিক যা নিজের উপর প্রয়োগ করা যায়
Catatonia-এর জন্য সিবিটি থেরাপি সরাসরি প্রয়োগ করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, কারণ এটি একটি জটিল এবং গুরুতর মানসিক অবস্থা। তবে, এখানে কিছু সিবিটি ভিত্তিক কৌশল রয়েছে যা ক্যাটাটোনিয়া রোগীরা তাদের নিজস্ব সক্ষমতার মধ্যে প্রয়োগ করতে পারেন:
1. প্রগতিশীল পেশী শিথিলকরণ (Progressive Muscle Relaxation):
কীভাবে করবেন:
- শরীরের বিভিন্ন অংশে পেশীগুলোর মধ্যে চাপ অনুভব করে এবং তারপর সেই চাপগুলো শিথিল করার চর্চা করুন।
- ধীরে ধীরে সমস্ত শরীরের পেশীগুলো শিথিল করার জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন।
- এই টেকনিকটি রোগীর মনের চাপ কমাতে এবং স্থবিরতার অনুভূতি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে।
2. মননশীল শ্বাস প্রশ্বাস (Mindful Breathing):
কীভাবে করবেন:
- ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস গ্রহণ করুন এবং ধীরে ধীরে তা ছাড়ুন।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় মনোযোগ দিন এবং শরীরের উপর তার প্রভাব অনুভব করুন।
- প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট মননশীল শ্বাস-প্রশ্বাসের চর্চা রোগীর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
3. আবেগ নিয়ন্ত্রণ (Emotional Regulation):
কীভাবে করবেন:
- রোগী যদি আবেগগতভাবে অসংলগ্নতা অনুভব করেন, তবে তার আবেগগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করুন।
- আবেগগুলোর প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করুন এবং সেগুলোকে পরিবর্তন করার উপায় নিয়ে চিন্তা করুন।
- প্রতিদিন নিজের আবেগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির চর্চা রোগীর মানসিক অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
4. আত্মনিয়ন্ত্রণ (Self-Monitoring):
কীভাবে করবেন:
- নিজের দৈনিক কার্যক্রম এবং আচরণগুলো পর্যবেক্ষণ করুন এবং তা একটি ডায়েরিতে লিখে রাখুন।
- নিজের আচরণের প্যাটার্নগুলো বোঝার চেষ্টা করুন এবং সেগুলোতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন।
- প্রতিদিন এই পদ্ধতিতে মনোনিবেশ করার মাধ্যমে রোগী তাদের আচরণ পরিবর্তন করতে পারেন।
5. ছোট লক্ষ্য স্থাপন (Setting Small Goals):
কীভাবে করবেন:
- ছোট ছোট কার্যকর লক্ষ্য স্থাপন করুন এবং প্রতিদিন সেগুলো অর্জনের চেষ্টা করুন।
- উদাহরণস্বরূপ, একদিনে ৫ মিনিটের জন্য কিছু কাজ করা বা একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করা।
- এই টেকনিকটি রোগীর স্থবিরতা এবং নড়াচড়ার সমস্যা মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।
6. আচরণমূলক সক্রিয়করণ (Behavioral Activation):
কীভাবে করবেন:
- ধীরে ধীরে প্রতিদিনের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ শুরু করুন, যেমন হাঁটাচলা করা বা সহজ কাজ করা।
- নিজেকে ইতিবাচকভাবে উৎসাহিত করুন এবং কাজগুলোতে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন।
- এটি রোগীর স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে সাহায্য করবে।
Catatonia-এর জন্য এই সিবিটি টেকনিকগুলো রোগীর মানসিক ও শারীরিক অবস্থার উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে। তবে, যেহেতু এটি একটি গুরুতর মানসিক সমস্যা, তাই পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।