জ্বর হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষীণ হয়। এসময় প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি, যা শরীরকে শক্তি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। অনেকেরই প্রশ্ন থাকে, জ্বর হলে ডিম খাওয়া যাবে কি? ডিমের পুষ্টিগুণ এবং জ্বরের সময় তা খাওয়া উচিত কি না, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই ব্লগটি পড়ুন।
জ্বরের সময় শরীরের চাহিদা:
জ্বরের সময় শরীর অনেক বেশি শক্তি হারায় এবং সঠিক পুষ্টি না পেলে দুর্বলতা তৈরি হয়। এই সময়ে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সহজে হজম হয় এবং শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে পারে। ডিমের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার জ্বরের সময় শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে পারে।
জ্বর হলে ডিম খাওয়ার উপকারিতা:
১. প্রোটিনের ভালো উৎস:
ডিম উচ্চমানের প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা জ্বরের সময় শরীরকে শক্তি দেয় এবং মাংসপেশির ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক হয়। জ্বর হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার শরীরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. সহজে হজম হয়:
জ্বরের সময় হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ পাকস্থলী দুর্বল হয়ে পড়ে। সেদ্ধ ডিম সহজে হজম হয় এবং পাকস্থলীতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে না। এটি হালকা হওয়ার কারণে জ্বরের সময় খাওয়া উপকারী।
৩. ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ:
ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি, বি১২, বি৬ এবং মিনারেল রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জ্বরের সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা যায়।
৪. অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সহায়ক:
ডিমের প্রোটিন শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে, যা রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়ক। জ্বর হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, তাই ডিম খেলে তা পুনরায় শক্তিশালী হয়।
কিভাবে ডিম খাওয়া উচিত:
জ্বর হলে ডিম খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত। ডিম অবশ্যই ভালোভাবে সেদ্ধ করে খেতে হবে, কারণ সেদ্ধ ডিম সহজে হজম হয় এবং এতে থাকা পুষ্টিগুণ বেশি কার্যকর হয়। ভাজা ডিম বা কাঁচা ডিম জ্বরের সময় খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ তা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কখন ডিম এড়িয়ে চলা উচিত:
- যদি কারো ডিমে অ্যালার্জি থাকে, তবে অবশ্যই জ্বরের সময় ডিম খাওয়া উচিত নয়।
- গ্যাস্ট্রিক বা বদহজমের সমস্যা থাকলে ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
জ্বরের সময় ডিম খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে, কারণ এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং সহজে হজমযোগ্য। তবে অবশ্যই সঠিকভাবে প্রস্তুত করা ডিম খাওয়া উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শে ডিম খাওয়া উত্তম, বিশেষ করে যদি কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে। ডিমের প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেলসমূহ জ্বরের সময় শরীরকে শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
📌 ঠিকানা:
পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।