অটিজম বাচ্চার দুধ খাওয়ানো: বিশেষ যত্ন ও পদ্ধতি

অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারে (ASD) আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত অন্য শিশুদের থেকে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং খাওয়ানোর ক্ষেত্রে তাদের কিছু বিশেষ যত্ন প্রয়োজন হতে পারে। অটিজমে আক্রান্ত বাচ্চারা অনেক সময় স্পর্শ, স্বাদ এবং টেক্সচারের প্রতি সংবেদনশীল থাকে, যা দুধ খাওয়ানোর সময় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। তাই, অটিজম বাচ্চার দুধ খাওয়ানোর জন্য অভিভাবকদের কিছু সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং কৌশল ব্যবহার করা প্রয়োজন।

অটিজম বাচ্চার দুধ খাওয়ানোর সময়ের চ্যালেঞ্জ

১. সংবেদনশীলতা: অনেক অটিস্টিক শিশু স্পর্শ বা স্বাদে অতিসংবেদনশীল থাকে। ফলে, তারা হয়তো দুধের স্বাদ বা বোতলের টেক্সচার পছন্দ নাও করতে পারে। ২. খাবারের বেছে নেওয়া: কিছু অটিস্টিক শিশুরা নির্দিষ্ট খাবার বা তরল থেকে এড়িয়ে চলে, যা দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। ৩. খাবারের সময় অতিরিক্ত প্রতিরোধ: কিছু অটিস্টিক শিশুদের খাওয়ার সময় অতিরিক্ত প্রতিরোধের অভ্যাস থাকতে পারে, যা খাওয়ানোকে আরও কঠিন করে তোলে।

raju akon youtube channel subscribtion

দুধ খাওয়ানোর সময় উপকারী কৌশলসমূহ

১. ধৈর্য ধরে কাজ করা: অটিস্টিক শিশুদের সঙ্গে কাজ করার সময় অভিভাবকদের ধৈর্য ধরে খাওয়ানো জরুরি। তাদের প্রতিক্রিয়া বোঝা এবং সেই অনুযায়ী খাওয়ানোর পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত।

২. ধীরে ধীরে শুরু করা: নতুন খাবার বা দুধের স্বাদে অভ্যস্ত করতে শিশুদের ধীরে ধীরে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ভালো। একবারে বেশি পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকুন।

৩. নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ানো হলে অটিস্টিক শিশুদের জন্য অভ্যাস গড়ে তোলা সহজ হয়। তারা একটা রুটিনে অভ্যস্ত হলে খাওয়ার সময় তাদের প্রতিরোধ কমে যায়।

৪. অন্য টেক্সচার চেষ্টা করা: বোতলের টেক্সচার বা দুধের তাপমাত্রা পরিবর্তন করা যেতে পারে, যদি শিশু সেটির প্রতি সংবেদনশীল হয়। কিছু শিশু গরম বা ঠাণ্ডা দুধ পছন্দ করতে পারে।

পুষ্টির দিকে নজর রাখা

যদি শিশুরা দুধ খেতে না চায় বা অন্য খাবারের প্রতি বেছে চলার অভ্যাস থাকে, তবে নিশ্চিত করতে হবে যে তারা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কিনা। প্রয়োজনে, একজন ডায়েটিশিয়ান বা পেডিয়াট্রিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে দুধ বা অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার যোগ করা যেতে পারে।

উপসংহার

অটিজম বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় বিশেষ যত্ন ও পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। অভিভাবকদের ধৈর্য, বোঝাপড়া, এবং পুষ্টি নিশ্চিতকরণই শিশুদের স্বাস্থ্যের দিকে ভালো প্রভাব ফেলে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top