সুষম ও নিরাপদ খাবার আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাবারের মধ্যে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেল, এবং ফ্যাট। নিরাপদ খাবার আমাদেরকে জীবাণু ও ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে রক্ষা করে। সুষম ও নিরাপদ খাবারের অভাবে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
সুষম ও নিরাপদ খাবারের অভাবে হওয়া সমস্যাগুলো:
- পুষ্টিহীনতা:
- সুষম খাবারের অভাবে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায় না, যার ফলে পুষ্টিহীনতা দেখা দিতে পারে। এটি শিশুর বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
- সুষম খাবারের অভাবে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায় না, যার ফলে পুষ্টিহীনতা দেখা দিতে পারে। এটি শিশুর বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
- অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা:
- খাদ্যে পর্যাপ্ত আয়রন এবং ফোলেট না থাকলে অ্যানিমিয়া হতে পারে, যা শরীর দুর্বল করে তোলে এবং রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি করে।
- শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত:
- শিশুদের ক্ষেত্রে পুষ্টিহীনতা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটায়, যার ফলে তাদের উচ্চতা এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধি যথাযথভাবে হয় না।
- অস্থিমজ্জার সমস্যা:
- পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি না পাওয়ার কারণে অস্থি দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যার ফলে অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ভঙ্গুরতা দেখা দিতে পারে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া:
- সুষম খাবারের অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যা বিভিন্ন ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে সহজেই আক্রান্ত হতে পারে। যেমন: ঠান্ডা, ফ্লু, নিউমোনিয়া ইত্যাদি।
- ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি:
- সুষম খাবারের অভাবে অতিরিক্ত ফ্যাট, চিনি, এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপ এর ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- শারীরিক দুর্বলতা এবং ক্লান্তি:
- পর্যাপ্ত পুষ্টি না পেলে শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং কাজের ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে দৈনন্দিন কার্যকলাপে সমস্যা দেখা দেয়।
- মানসিক সমস্যার ঝুঁকি:
- নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাবারের অভাবে ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি, এবং মেজাজের পরিবর্তন ঘটতে পারে। পুষ্টিহীনতা মস্তিষ্কে সঠিকভাবে কাজ করার উপাদানের অভাব ঘটায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা:
- সুষম খাবারের মধ্যে থাকা ফাইবার এবং পানি শরীরের হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফাইবারযুক্ত খাবারের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
- শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি:
- গর্ভবতী মা যদি সুষম এবং নিরাপদ খাবার না খায়, তাহলে শিশুর জন্মের সময় কম ওজন এবং শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে, যা শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।