গর্ভাবস্থার ৮ মাসে পেট ব্যথা হওয়া সাধারণ একটি বিষয় হতে পারে, তবে এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কিছু কারণ স্বাভাবিক, আবার কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
পেট ব্যথার কারণ:
- ব্রাক্সটন হিক্স সংকোচন (Braxton Hicks Contractions): ৮ মাসে পেট ব্যথা হতে পারে ব্রাক্সটন হিক্স সংকোচনের কারণে, যা সাধারণত মিথ্যা প্রসব সংকোচন নামে পরিচিত। এটি সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে শরীরকে প্রস্তুত করার জন্য ঘটে থাকে।
- শিশুর অবস্থান পরিবর্তন: গর্ভের বাচ্চার নড়াচড়া ও অবস্থান পরিবর্তনের ফলে মায়ের পেটে হালকা ব্যথা হতে পারে। বিশেষত, যখন বাচ্চা নিচে নামতে শুরু করে, তখন এ ধরনের ব্যথা দেখা যায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য বা গ্যাস: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য বা গ্যাস তৈরি হলে পেটের ব্যথা দেখা দিতে পারে।
- অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইডের চাপ: বাচ্চার ওজন এবং অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইডের চাপের ফলে পেটের নিচের অংশে চাপ অনুভূত হতে পারে।
- প্রসব যন্ত্রণা: যদি ব্যথাটি নিয়মিত ও শক্তিশালী হয় এবং সময়ের সাথে বাড়তে থাকে, এটি আসল প্রসবের সংকেত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
করণীয়:
- বিশ্রাম নিন: পেট ব্যথা হলে কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নিন। শুয়ে থাকলে ব্যথা কমে যেতে পারে।
- পানি পান করুন: ডিহাইড্রেশন পেট ব্যথার কারণ হতে পারে, তাই যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন।
- হালকা ব্যায়াম: হাঁটাচলা বা হালকা ব্যায়াম করলে পেটের ব্যথা কিছুটা কমে যেতে পারে।
- উষ্ণ পানির সেঁক: হালকা উষ্ণ পানি দিয়ে সেঁক দিলে পেশীর ব্যথা কমে আসে এবং আরাম বোধ হয়।
- চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি ব্যথা বেশি হয়, বা রক্তপাত, জল ভাঙা, অথবা প্রসবের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন:
- যদি ব্যথা নিয়মিত বা তীব্র হয়
- যদি ব্যথার সাথে রক্তপাত বা প্রসবের অন্য কোন লক্ষণ দেখা দেয়
- যদি তলপেটে তীব্র চাপ অনুভব হয়