কোনো মেডিসিন ছাড়াই দীর্ঘ সময় সহবাসের প্রধান থেরাপি

দীর্ঘ সময় ধরে সহবাস করা অনেক পুরুষের একটি আকাঙ্ক্ষা, তবে এটি শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ের সাথেও সম্পর্কিত। অনেক সময় পুরুষরা দীর্ঘ সময় ধরে সহবাস করতে সক্ষম হন না এবং দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা দূর করতে অনেকেই ঔষধ বা কৃত্রিম পদ্ধতি বেছে নেন। তবে, কিছু প্রাকৃতিক থেরাপি এবং টেকনিক ব্যবহার করেও আপনি দীর্ঘ সময় ধরে সহবাস করতে পারেন। এখানে আমরা আলোচনা করবো মেডিসিন ছাড়াই দীর্ঘ সময় সহবাসের কিছু প্রধান থেরাপি নিয়ে।

১. স্টার্ট-স্টপ টেকনিক:

স্টার্ট-স্টপ টেকনিকটি পুরুষদের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা সমাধানে কার্যকর একটি পদ্ধতি।

পদ্ধতি:

  • যৌন উত্তেজনা যখন বাড়তে শুরু করে, তখন সহবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করতে হবে।
  • এই সময় নিজেকে শিথিল করতে হবে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • উত্তেজনা কমে গেলে পুনরায় সহবাস শুরু করতে পারেন।

উপকারিতা:

  • এই টেকনিকটি নিয়মিত চর্চা করলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে সহবাস করতে পারবেন।

raju akon youtube channel subscribtion

২. স্কুইজ টেকনিক:

স্কুইজ টেকনিকও দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা দূর করতে সহায়ক। এটি একটি প্রাচীন পদ্ধতি যা যৌন উত্তেজনার শীর্ষে পৌঁছানোর আগেই বীর্যপাত আটকাতে সাহায্য করে।

পদ্ধতি:

  • যখন আপনি অনুভব করবেন যে বীর্যপাত আসন্ন, তখন পুরুষাঙ্গের গোড়ার দিক থেকে হালকা চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
  • এতে বীর্যপাত বিলম্বিত হয় এবং আপনি সহবাসের সময় বাড়াতে পারবেন।

৩. পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ (কেগেল এক্সারসাইজ):

পেলভিক ফ্লোরের পেশি শক্তিশালী করতে কেগেল এক্সারসাইজ খুবই কার্যকর। এটি শুধুমাত্র মহিলাদের জন্যই নয়, পুরুষদের ক্ষেত্রেও কার্যকরী।

পদ্ধতি:

  • পেশি সংকুচিত করার সময় আপনি মূত্র ধরে রাখার মতো অনুভূতি পাবেন। এই পেশিগুলোই পায়ের নীচের দিকে বীর্যপাত নিয়ন্ত্রণ করে।
  • দিনে কয়েকবার এই পেশিগুলো সংকুচিত করে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পরে শিথিল করুন।

উপকারিতা:

  • নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ করলে আপনি বীর্যপাতের সময় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং সহবাসের স্থায়ীত্ব বাড়বে।

৪. মনোযোগ বিভাজন থেরাপি:

কিছু পুরুষ দ্রুত বীর্যপাতের সময় অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে সহবাসের সময় কমিয়ে ফেলে। এ জন্য মনোযোগ বিভাজন পদ্ধতি সহায়ক হতে পারে।

পদ্ধতি:

  • সহবাসের সময় আপনার মনোযোগ অন্য কিছুতে স্থাপন করুন। উদাহরণস্বরূপ, মাথায় কোনো সাধারণ বা দৈনন্দিন বিষয়ে চিন্তা করা।

উপকারিতা:

  • উত্তেজনা কমানো যায় এবং সহবাসের সময় বাড়ানো সম্ভব হয়।

৫. মাইন্ডফুলনেস ও রিলাক্সেশন:

মাইন্ডফুলনেস বা সচেতন থাকা একটি মানসিক থেরাপি যা মানসিক চাপ এবং শারীরিক উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে। মাইন্ডফুলনেস থেরাপি শিখলে আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে শিথিল থাকতে পারবেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে সহবাস করতে পারবেন।

উপকারিতা:

  • মানসিক চাপ কমায়, যা সহবাসের স্থায়ীত্ব বাড়াতে সহায়ক।

৬. দম নিয়ন্ত্রণ থেরাপি:

সহবাসের সময় দম নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সহবাসের সময় বাড়ানো সম্ভব হয়।

পদ্ধতি:

  • ধীরে ধীরে এবং গভীরভাবে শ্বাস নিন। দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করার জন্য নিয়মিত শ্বাসের অনুশীলন করুন।

উপকারিতা:

  • দম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনি উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং দীর্ঘস্থায়ী সহবাস উপভোগ করতে পারবেন।

৭. যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন:

যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন মানসিক এবং শারীরিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যোগব্যায়াম করলে শরীরের পেশি শক্তিশালী হয় এবং মন নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা দীর্ঘ সময় ধরে সহবাস করতে সহায়ক।

উপকারিতা:

  • মানসিক স্থিতি বজায় রাখে, যা যৌন জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

উপসংহার:

দীর্ঘ সময় ধরে সহবাস করার জন্য ওষুধের প্রয়োজন নেই। আপনি প্রাকৃতিক থেরাপি ও টেকনিক ব্যবহার করেই দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা সমাধান করতে পারেন। স্টার্ট-স্টপ টেকনিক, স্কুইজ টেকনিক, কেগেল এক্সারসাইজ এবং মনোযোগ বিভাজন থেরাপি সহ অন্যান্য পদ্ধতিগুলো আপনার যৌন জীবনের স্থায়ীত্ব বাড়াতে কার্যকর হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top