শিশুরা যখন মাথায় আঘাত পায়, এটি সবসময়ই উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে যদি আঘাতের পর শিশুর বমি শুরু হয়, তবে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো জরুরি। মাথায় আঘাতের কারণে কখনও কখনও আভ্যন্তরীণ সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে বমি, অস্বস্তি বা আরও জটিল উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
মাথায় আঘাত এবং বমির কারণ:
- মস্তিষ্কে আঘাত:
- শিশুর মাথায় আঘাত লেগে যদি মস্তিষ্কের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দেয়, তবে তা বমির কারণ হতে পারে। এটি কনকাশন বা মস্তিষ্কের ঝাঁকুনির লক্ষণ হতে পারে।
- অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ:
- মাথায় আঘাতের ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে, যা গুরুতর হতে পারে। এর ফলে বমি, মাথা ঘোরা, অথবা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
- কোমর বা ঘাড়ে আঘাত:
করণীয়:
- প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ:
- শিশুকে চুপ করে বিশ্রাম করতে দিন এবং তার মাথায় কোথাও ফুলে যাওয়া বা লালচে দাগ আছে কিনা তা দেখুন।
- বমি হলে মাথা সোজা রাখুন:
- যদি বমি শুরু হয়, তবে শিশুর মাথা সোজা বা পাশে করে রাখুন, যাতে বমির কারণে শ্বাসরোধের কোনো ঝুঁকি না থাকে।
- শীতল কাপড় দিয়ে মাথায় চেপে ধরা:
- মাথায় ঠাণ্ডা কাপড় দিয়ে আঘাতের জায়গা চেপে ধরে রাখতে পারেন। এটি ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- খাবার ও পানি এড়িয়ে চলুন:
- বমি হলে সঙ্গে সঙ্গে খাবার বা পানীয় না দেওয়াই ভালো, কারণ এটি আরও বমির কারণ হতে পারে।
- চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
- যদি শিশুর বমি হয়, এবং এটি একবারের বেশি হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ডাক্তার হয়তো সিটি স্ক্যান বা অন্যান্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত করবেন যে শিশুর মস্তিষ্ক বা মাথার আভ্যন্তরীণ অংশে কোনো সমস্যা নেই।
চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন:
- আঘাতের পর যদি শিশুর বমি বন্ধ না হয়।
- মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হওয়া, অতিরিক্ত ঘুমের প্রবণতা, বা কোনো অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিলে।
- মাথায় আঘাতের পরপরই অতিরিক্ত রক্তপাত বা ফোলা দেখা দিলে।
শিশুদের মাথায় আঘাত প্রতিরোধের উপায়:
- শিশুকে খেলাধুলার সময় নিরাপদে রাখুন এবং সার্বক্ষণিক নজর রাখুন।
- খেলনার ধরণ, ফার্নিচারের প্রান্ত ইত্যাদি পর্যালোচনা করে পরিবেশ নিরাপদ রাখুন।