গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় ওজনের পরিবর্তন শিশুর স্বাস্থ্য এবং মায়ের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হতে পারে। ওজন বাড়া মায়ের শারীরিক গঠন, খাদ্যাভ্যাস, এবং গর্ভাবস্থার আগে থাকা ওজনের উপর নির্ভর করে। নীচে গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন চার্ট দেওয়া হলো:
গর্ভাবস্থার বিভিন্ন স্তরে ওজন বাড়ার পরামর্শ
গর্ভাবস্থার আগে BMI অনুযায়ী:
- সাধারণ ওজন (BMI 18.5-24.9):
- সম্পূর্ণ গর্ভাবস্থায় ১১.৫-১৬ কেজি বাড়া উচিত।
- প্রতি সপ্তাহে ০.৪-০.৫ কেজি ওজন বাড়া উচিত (২য় এবং ৩য় ত্রৈমাসিক থেকে)।
- অল্প ওজন (BMI ১৮.৫ এর নিচে):
- সম্পূর্ণ গর্ভাবস্থায় ১২.৫-১৮ কেজি বাড়া উচিত।
- প্রতি সপ্তাহে ০.৫-০.৬ কেজি ওজন বাড়া উচিত (২য় এবং ৩য় ত্রৈমাসিক থেকে)।
- অতিরিক্ত ওজন (BMI ২৫-২৯.৯):
- সম্পূর্ণ গর্ভাবস্থায় ৭-১১.৫ কেজি বাড়া উচিত।
- প্রতি সপ্তাহে ০.২-০.৩ কেজি ওজন বাড়া উচিত (২য় এবং ৩য় ত্রৈমাসিক থেকে)।
- মোটা (BMI ৩০ এবং এর বেশি):
গর্ভাবস্থার ত্রৈমাসিক অনুযায়ী ওজন বাড়ার চার্ট:
- প্রথম ত্রৈমাসিক (১-১২ সপ্তাহ):
- প্রায় ০.৫-২ কেজি ওজন বাড়তে পারে।
- মায়ের ক্ষুধা খুব বেশি পরিবর্তিত হয় না।
- দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (১৩-২৮ সপ্তাহ):
- এই সময়ে ওজন দ্রুত বাড়ে, প্রতি সপ্তাহে ০.৪-০.৫ কেজি ওজন বাড়তে পারে।
- বাচ্চার বৃদ্ধির জন্য মায়ের খাদ্য গ্রহণও বাড়তে পারে।
- তৃতীয় ত্রৈমাসিক (২৯-৪০ সপ্তাহ):
- প্রতি সপ্তাহে ০.৩-০.৫ কেজি ওজন বাড়া উচিত।
- এই পর্যায়ে বাচ্চার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়, এবং মায়ের শরীরে ওজন বাড়ার হার একটু ধীর হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব:
- মায়ের ওজন খুব বেশি বা খুব কম হলে তা গর্ভাবস্থার ঝুঁকি বাড়ায়।
- খুব কম ওজন বাড়লে শিশুর ওজন কম হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
- অতিরিক্ত ওজন বাড়লে উচ্চ রক্তচাপ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, এবং সিজারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং নিয়মিত ডাক্তারি পরামর্শ মায়ের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ঠিকানা: রাজু আকন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট
পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার
২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।
ফোন: ০১৬৮১০০৬৭২৬