গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
চিংড়ি মাছের পুষ্টিগুণ:
চিংড়ি মাছ প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং ভিটামিন বি১২ এর চমৎকার উৎস। এগুলো মায়ের স্বাস্থ্য এবং গর্ভের শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য উপকারী।
চিংড়ি মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা:
- সঠিক রান্না করা: কাঁচা বা আধা-কাঁচা চিংড়ি খেলে গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি বাড়তে পারে। সবসময় চিংড়ি ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া উচিত, যাতে কোনো ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণ না হয়।
- পারদ (Mercury) এর পরিমাণ: চিংড়ি মাছের পারদ (Mercury) এর পরিমাণ অনেক কম থাকে, তাই এটি তুলনামূলক নিরাপদ। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়া ভালো।
- পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: সপ্তাহে ২-৩ বারের বেশি খাওয়া উচিত নয়, কারণ সামুদ্রিক মাছের অতিরিক্ত গ্রহণ পারদ এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
উপকারিতা:
- চিংড়ি মাছ প্রোটিনের ভালো উৎস হওয়ায় গর্ভাবস্থায় এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
- চিংড়ির মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক।
সতর্কতা:
- কাঁচা চিংড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- সঠিকভাবে ধুয়ে, পরিষ্কার করে ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া উচিত।
ঠিকানা: পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার
২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।
ফোন: ০১৬৮১০০৬৭২৬