ফলিক এসিড গর্ভাবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এটি বিশেষভাবে শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ডের গঠন সঠিকভাবে করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ফলিক এসিড গর্ভের প্রথম দিকে নিউরাল টিউব ডিফেক্ট প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড কত দিন খেতে হয়?
১. গর্ভধারণের আগে শুরু করা উচিত:
- গর্ভধারণের পরিকল্পনা করার আগে, কমপক্ষে ১ মাস আগে থেকেই ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট নেওয়া শুরু করা উচিত। এটি গর্ভধারণের প্রথম দিকে শিশুর সঠিক বিকাশে সহায়তা করে।
২. গর্ভধারণের প্রথম ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত:
- সাধারণত, গর্ভধারণের প্রথম ১২ সপ্তাহ বা ৩ মাস পর্যন্ত ফলিক এসিড নিয়মিত খাওয়া উচিত। এই সময় শিশুর নিউরাল টিউব (মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ড) বিকশিত হয় এবং এই সময়ে ফলিক এসিড গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
৩. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী:
- কিছু গর্ভবতী মায়ের জন্য ডাক্তাররা পুরো গর্ভাবস্থার সময় ফলিক এসিড চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন, বিশেষত যদি পূর্বে গর্ভস্থ শিশুর কোনো নিউরাল টিউব ডিফেক্টের সমস্যা থাকে বা মায়ের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।
৪. ফলিক এসিডের সঠিক মাত্রা:
- সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে আপনার শরীরের অবস্থা এবং গর্ভধারণের অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে ডাক্তার আপনার জন্য নির্ধারিত ডোজ দিতে পারেন।
ফলিক এসিড খাওয়ার উপকারিতা:
- নিউরাল টিউব ডিফেক্ট প্রতিরোধ: গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের ত্রুটি প্রতিরোধ করে।
- রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ: ফলিক এসিড শরীরে নতুন রক্ত কোষ তৈরিতে সহায়তা করে, যা রক্তশূন্যতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ।
- সুস্থ মস্তিষ্কের বিকাশ: শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সহায়ক।
- প্রি-টার্ম বার্থ প্রতিরোধ: সময়ের আগে প্রসবের ঝুঁকি কমায়।
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার:
ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট ছাড়াও ফলিক এসিড সমৃদ্ধ কিছু প্রাকৃতিক খাদ্য:
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড গ্রহণ শিশুর সুস্থ বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরি। গর্ভধারণের আগে এবং প্রথম তিন মাস পর্যন্ত ফলিক এসিড গ্রহণ করতে হবে। সঠিক সময় ও ডোজের জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
📌 ঠিকানা:
পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।