টনসিল হলো গলার দুই পাশে অবস্থিত ছোট মাংসপিণ্ড, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। তবে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে টনসিল ফুলে যায় এবং এটি সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এই সমস্যাটি সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে বড়দেরও এটি হতে পারে। গলায় টনসিল হলে কিছু প্রতিকার এবং চিকিৎসা অনুসরণ করা যেতে পারে।
টনসিলের লক্ষণ:
- গলা ব্যথা ও ফোলাভাব
- কথা বলতে কষ্ট
- ঢোক গিলতে সমস্যা
- মুখে দুর্গন্ধ
- জ্বর
- গলায় লালচে ভাব এবং সাদা/পুঁজযুক্ত বস্তু জমা হওয়া
টনসিল হলে করণীয়:
১. লবণ পানি দিয়ে গার্গল:
- এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে টনসিলের প্রদাহ কমে যায় এবং ব্যথা উপশম হয়।
২. গরম পানীয় পান:
- আদা চা, মধু মেশানো গরম পানি, বা তেঁতুল পানীয় গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে এবং টনসিলের ফোলাভাব কমায়।
৩. বেশি পরিমাণে পানি পান:
- শরীর হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গলা শুষ্ক না থাকলে সংক্রমণ দ্রুত ভালো হয়।
৪. প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন:
- গলা ব্যথা ও জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ডোজ গ্রহণ করা উচিত।
৫. রেস্ট নেওয়া:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং দ্রুত সেরে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয়।
৬. গলায় ঠান্ডা লাগা থেকে বিরত থাকা:
- ঠান্ডা খাবার বা পানীয় থেকে বিরত থাকা উচিত। হালকা গরম খাবার খেলে গলা শান্ত থাকে।
৭. মধু ও আদা:
- এক চা চামচ মধু ও সামান্য আদা মিশিয়ে খেলে টনসিলের প্রদাহ ও ব্যথা উপশম হয়।
টনসিলের চিকিৎসা:
যদি টনসিল দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বারবার সমস্যা দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে নিচের চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে:
১. অ্যান্টিবায়োটিক:
- যদি টনসিলের সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়, তবে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। তবে, পুরো কোর্স শেষ করা অত্যন্ত জরুরি।
২. টনসিলেকটমি (Tonsillectomy):
- যদি বারবার টনসিলের সমস্যা হয় এবং এটি জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে টনসিল অপসারণের জন্য ডাক্তার টনসিলেকটমি সার্জারি প্রস্তাব করতে পারেন।
সতর্কতা:
যদি টনসিলের কারণে শ্বাসকষ্ট বা ঢোক গিলতে তীব্র কষ্ট হয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
📌 ঠিকানা:
পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।