গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তন, আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ, এবং শিশুর আকার বৃদ্ধির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা। এটি দূর করার জন্য কিছু নিরাপদ ঔষধ এবং ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করা যেতে পারে। তবে, গর্ভাবস্থায় যে কোনো ঔষধ গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধ:
১. ডোকুসেট সডিয়াম (Docusate Sodium):
- এটি একটি মল নরমকারক (stool softener) যা মলের পানি শোষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মল নরম করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক।
২. ল্যাক্টুলোজ (Lactulose):
- ল্যাক্টুলোজ একটি চিনি-জাতীয় ল্যাক্সেটিভ, যা অন্ত্রে পানি শোষণ করে মল নরম করে। এটি নিরাপদ এবং ডাক্তারি পরামর্শে গ্রহণ করা যেতে পারে।
৩. ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (Magnesium Hydroxide):
- এটি একটি অ্যান্টাসিড এবং ল্যাক্সেটিভ, যা মলকে নরম করে এবং অন্ত্রের চলনকে উন্নত করে।
৪. প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট:
- প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ ঔষধ বা সাপ্লিমেন্ট অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে হজমের গতি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কার্যকর।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া প্রতিকার:
১. ফাইবারযুক্ত খাবার:
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
- 🥗 শাকসবজি (পালং শাক, লাল শাক), 🥝 ফল (পেয়ারা, আপেল), এবং সম্পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার যেমন ওটস এবং ব্রাউন রাইস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২. প্রচুর পানি পান:
- প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান করলে মল নরম হয় এবং সহজে পাস হয়।
৩. ব্যায়াম:
- হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, যোগব্যায়াম ইত্যাদি অন্ত্রের চলাচল সচল রাখে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়ক।
৪. গরম পানিতে লেবুর রস:
- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে হজমশক্তি বাড়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৫. পেঁপে ও অন্যান্য ফল:
- পেঁপে এবং অন্যান্য ফাইবারযুক্ত ফল মল নরম করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা:
গর্ভাবস্থায় যে কোনো ঔষধ বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
📌 ঠিকানা:
পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।