ধাতু রোগ একটি মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা, যা সাধারণত যৌন দুর্বলতা, শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার সাথে সম্পর্কিত হয়। এটি বিশেষ করে পুরুষদের মধ্যে দেখা যায় এবং এতে শারীরিক উপসর্গের পাশাপাশি মানসিক উদ্বেগও জড়িত থাকে। ধাতু রোগের মূল কারণগুলো মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরিক উভয় দিক থেকেই বিবেচনা করা যেতে পারে।
ধাতু রোগের কারণ:
১. অতিরিক্ত মানসিক চাপ:
- মানসিক চাপ ও উদ্বেগ ধাতু রোগের অন্যতম কারণ। শরীর এবং মনের উপর অতিরিক্ত চাপ শরীরের হরমোন ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি করতে পারে, যা ধাতু রোগের জন্য দায়ী।
২. অপুষ্টি এবং দুর্বল স্বাস্থ্য:
- সঠিক পুষ্টির অভাব এবং শরীরের দুর্বলতা ধাতু রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে আয়রন, ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
৩. অতিরিক্ত হস্তমৈথুন:
- অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ধাতু রোগের একটি বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি শারীরিক ও মানসিক শক্তি হ্রাস করতে পারে, যা ধাতু রোগে রূপান্তরিত হতে পারে।
৪. স্বল্প বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:
- পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ না করা এবং সঠিক ডায়েট না মেনে চললে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়, যা ধাতু রোগের কারণ হতে পারে।
৫. হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:
- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা পুরুষের যৌন স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে শারীরিক দুর্বলতা এবং ধাতু রোগ দেখা দিতে পারে।
৬. অপর্যাপ্ত ঘুম:
- পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। এতে শারীরিক শক্তি এবং মানসিক স্থিতিশীলতা হ্রাস পায়, যা ধাতু রোগের লক্ষণ হতে পারে।
৭. অতিরিক্ত যৌন চিন্তা:
- যৌন চিন্তায় অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া এবং মানসিকভাবে উদ্বিগ্ন থাকাও ধাতু রোগের কারণ হতে পারে।
প্রতিকার:
- মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন এবং যোগ ব্যায়াম করা যেতে পারে।
- সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
- পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করা।
- যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
- পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চিকিত্সকের পরামর্শ:
যদি ধাতু রোগের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এর জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন।
📌 ঠিকানা:
পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।