ঘুম কম হওয়ার প্রতিকার:

  • কভাবে দুর্বল অনুভব করা।
  • মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
  • শারীরিক কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া।
  • সৃজনশীলতা ও মনোযোগের অভাব।

ঘুম কম হওয়ার প্রতিকার:

১. নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী তৈরি করুন:
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস করুন। এতে শরীরের ঘুমের চক্র (circadian rhythm) নিয়মিত থাকবে এবং ঘুমের গুণগত মান উন্নত হবে।

২. রিলাক্সেশন টেকনিক্স প্রয়োগ করুন:
ঘুমানোর আগে মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা মৃদু যোগব্যায়াম করা যেতে পারে। এগুলো মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে এবং মনকে শান্ত করে।

৩. ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন:
ঘুমানোর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা আগে সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, টিভি, ল্যাপটপ ইত্যাদি বন্ধ করে রাখুন। এতে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম নেওয়ার সময় দেওয়া হয় এবং ঘুম দ্রুত আসে।

৪. হালকা খাবার গ্রহণ করুন:
রাতের খাবার হালকা এবং সহজপাচ্য হওয়া উচিত। ক্যাফেইন এবং নিকোটিন এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে। প্রচুর পানি পান করা ভালো, তবে ঘুমের আগে বেশি পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

৫. ঘুমের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করুন:
ঘর অন্ধকার, ঠান্ডা ও শান্ত রাখুন। উষ্ণ আলোর পরিবর্তে ঘরে মৃদু আলোর ব্যবহার করুন, যা মস্তিষ্কে বিশ্রামের সংকেত পাঠায়।

৬. ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ:
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করলে শরীর ক্লান্ত হয়, যা ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে। তবে ঘুমানোর আগে খুব বেশি পরিশ্রম করা উচিত নয়, কারণ এটি ঘুমের সময় ব্যাহত করতে পারে।

ঘুম কম হওয়া থেকে কীভাবে রক্ষা করবেন:

  • রাতে দেরি করে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
  • শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন এবং মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি বই পড়া বা শান্ত সঙ্গীত শোনা যেতে পারে।
  • ঘুমের সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ঘুম কম হওয়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব:

  • শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি।
  • মেমোরি লস এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া।
  • হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বৃদ্ধি।
  • ওজন বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
  • মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া এবং ডিপ্রেশন।

ঘুম আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশাল প্রভাব ফেলে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি এবং কার্যক্ষমতা কমে যায়। তাই, ঘুমের অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এবং সঠিক যত্ন নিয়ে ঘুমের সমস্যা দূর করা সম্ভব। যদি ঘুমের সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগতে থাকেন, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

📌 ঠিকানা:

পাইনেল মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার, ২২২/১বি, সাউথ পীরেরবাগ, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

📞 ফোন: ০১৬৮১০০৬৭২৬।

✎ রাহু আকন, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top