নোমান, একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, যে অটিজম নিয়ে জন্মেছে। তার পরিবারের জন্য অটিজমের শুরুর ধাক্কা ছিল প্রচণ্ড, কিন্তু ধৈর্য, চিকিৎসা, এবং ভালোবাসার মাধ্যমে নোমানের যাত্রা সত্যিই অভূতপূর্ব। আজকে আমরা শুনবো নোমানের মায়ের মুখে তার সফলতার গল্প।
প্রথম দিনগুলোর চ্যালেঞ্জ
নোমানের মা বলেন, “নোমান যখন ছোট ছিল, তখন সে ঠিকমতো কথা বলত না, অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারত না, এমনকি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলাও তার জন্য কঠিন ছিল। সেই সময়টা ছিল আমাদের পরিবারের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং।”
পরিবারের সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়লেও, তার মা-বাবা হাল ছাড়েননি। তারা বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে নোমানের জন্য থেরাপি শুরু করেন।
থেরাপির মাধ্যমে অগ্রগতি
নোমানকে সঠিক সময়ে অটিজম থেরাপিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্পিচ থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, এবং সেন্সরি থেরাপি তাকে আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং যোগাযোগের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে। প্রথমে অগ্রগতি ধীর গতিতে হলেও, ধীরে ধীরে নোমান নিজেকে মানিয়ে নিতে শুরু করে।
তার মা বলেন, “প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে আমি নোমানে পরিবর্তন দেখতে শুরু করি। সে আরও বেশি চোখের দিকে তাকাতে শিখেছে, সামাজিক যোগাযোগের চেষ্টাও বাড়ছে। আমি কল্পনাও করিনি সে এত দ্রুত সফল হবে।”
দ্রুত উন্নতির কারণ
নোমানের সফলতার পেছনে মূল কারণ ছিল তার পরিবারের দৃঢ়তা এবং থেরাপিস্টদের নিরলস প্রচেষ্টা। অটিজমের চিকিৎসা এবং শিক্ষামূলক প্রোগ্রামগুলো নোমানের শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য খুবই সহায়ক হয়েছে।
সফলতার গল্প
“আমি যখন প্রথমবার দেখলাম নোমান নিজে থেকে অন্যদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে, তখন আমার চোখে পানি এসে গেল। এত বড় অগ্রগতি আমি কল্পনাও করিনি।” নোমানের মা গর্বের সাথে বললেন।
উপসংহার
অটিজম কোনো রোগ নয়, এটি এক ধরনের বিশেষ চাহিদা, যা সঠিক চিকিৎসা, থেরাপি এবং পরিবারের ভালোবাসা দিয়ে মোকাবিলা করা যায়। নোমানের গল্পটি তার পরিবারের ধৈর্য এবং দৃঢ়তার প্রতীক। অটিজমে আক্রান্ত অনেক শিশুর জন্য এটি একটি উদাহরণ হতে পারে যে, সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিলে উন্নতি সম্ভব।