দ্রুত বীর্যপাত (Premature Ejaculation) অনেক পুরুষের জন্য একটি সাধারণ এবং বিব্রতকর সমস্যা। এটি শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও অনেক প্রভাব ফেলে। তবে সঠিক উপায়ে এটি নিরাময় করা সম্ভব। আসুন জেনে নিই কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় এবং পরামর্শ, যা দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে।
১. কেজেল ব্যায়াম
কেজেল ব্যায়াম পুরুষদের পেলভিক ফ্লোর মাংসপেশিকে শক্তিশালী করতে সহায়ক। এটি নিয়মিত করলে যৌন সম্পর্কের সময় বীর্যপাতের সময় নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। দিনে কয়েকবার কেজেল ব্যায়াম করুন। এটি করতে পেশীগুলো সংকুচিত ও শিথিল করতে হবে, যা আপনি প্রস্রাব করার সময় থামানোর মতো অনুভব করবেন।
২. ধীরে শ্বাস নেওয়া ও রিলাক্সেশন
যৌন সম্পর্কের সময় ধীরে ধীরে শ্বাস নেওয়া এবং নিজেকে রিল্যাক্স করা দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কমাতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করা এবং মনোযোগ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া বীর্যপাত বিলম্বিত করতে সহায়ক।
৩. যৌন সম্পর্কের সময় বিরতি নেওয়া
যখন আপনি বীর্যপাতের কাছাকাছি অনুভব করেন, তখন যৌন সম্পর্ক থামিয়ে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিন। এটি বীর্যপাতকে বিলম্বিত করতে সাহায্য করে এবং সময়ের সাথে সাথে সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে।
৪. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
সঠিক খাদ্যাভ্যাস দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে। বেশি পরিমাণে ফল, সবজি এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। বিশেষ করে দুধ, ডিম, মধু এবং বাদাম ইত্যাদি খাদ্য যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৫. মানসিক চাপ কমানো
মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং হতাশা দ্রুত বীর্যপাতের অন্যতম কারণ হতে পারে। প্রতিদিনের জীবনে স্ট্রেস কমাতে ধ্যান, যোগব্যায়াম, বা রিল্যাক্সেশন টেকনিক ব্যবহার করতে পারেন।
৬. সঙ্গীর সাথে খোলামেলা আলোচনা
সঙ্গীর সাথে খোলামেলা আলোচনা যৌন সমস্যাগুলি সমাধানে সহায়ক। আপনার অনুভূতি ও সমস্যাগুলি সঙ্গীর সাথে শেয়ার করুন, যাতে একে অপরের সাথে আরও ভালোভাবে বোঝাপড়া হতে পারে এবং সমস্যার সমাধান করা যায়।
৭. পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরের যৌন শক্তি কমে যায় এবং দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, এটি সঠিক যত্ন ও নিয়মিত অভ্যাসের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। প্রাকৃতিক উপায়ে ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে আপনি এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তবে, সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।