আমি শুচিবায়ু রোগে খুব বাজে ভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি

Assalamualaikum
নিচের কথাগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে শুনুন দয়া করে! বেশি লেখা দেখে স্কিপ করবেন না প্লিস!!!

আমি শুচিবায়ু রোগে খুব বাজে ভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি।

আমার এই রোগ প্রায় ৩/৪ বছর ধরে চলছে! ৬/৭ মাসের মতো থাকে আবার কয়েক মাসের জন্য চলে যায়!
প্রথম যখন এই সমস্যাটা ফিল করি তখন এটা যে শুচিবায়ু রোগ সেটা বুজতে পারিনি।প্রথম যখন এটা হয় তখন হয়তো ক্লাস ৯ এ পড়ি, তখন সমস্যা ছিলো আমার বার বার মনে হতো আমার চেইন খোলা থাকে এবং আমার লজ্জাস্থান সবাই দেখছে, আবার ওয়াসরুমে গেলে মনে হতো ওয়াসরুমের দরজা আটকানো হয়নি, আমার সবকিছু সবাই দেখে ফেলবে,ওয়াসরুমে গিয়ে আগে চেক করতে হতো চেইন এবং দরজা খোলা বন্ধ ছিলো কিনা, বন্ধ থাকলে সাবান দিয়ে দেয়ালে লিখে রাখতে হতো!! এসব করতে তখন ৩০/৪০ মিনিট সময় লেগে যেতো!এছাড়াও যেখানে সেখানের পর্দা এবং জানলা দেয়া হয়েছে কিনা, প্যান্ট অনেক উপরে উঠিয়ে পড়া, টি-শার্ট অনেক বড়ো বানিয়ে পড়া যাতে লজ্জাস্থান ডেকে থাকে, প্যান্টের চেইন বার বার চেক করা সহ আরো অনেক সমস্যা ফিল করতাম।

raju akon youtube channel subscribtion

কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার পরপরই সমস্যাগুলো চলে যায়!এখন আমি চেইন খোলা দিয়ে হাটলেও সমস্যা নেই!

এরপর আবার এইসএসসির পরিক্ষার আগে এই সমস্যা শূরু হয় নতুন লক্ষন নিয়ে! তখন পড়তে পারতাম না ঠিক করে, পড়তে বসলে ১ পেইজ পরার পর কিছু না কিছু বলতে বলতে হতো যেমনঃ (আলহামদুলিল্লাহ /বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম/ আল্লাহ আকবার +)। মাঝে মাঝে ২/৩ লাইন পর পর ও বলতে হতো!! এবং মনে আল্লাহ এবং নবী (সঃ)সম্পর্কে খারাপ চিন্তা আসতো, ইসলামে অস্তিত্বে সন্দেহ হতো!এছাড়াও আরো অল্প কিছু সমস্যা ছিলো! এবারও ৬/৭ মাস পর চলে যায়!
এছাড়াও সময় সময় আমার এই রোগ দেখা দিয়েছে! ২/৩/৪ মাসের মতো থাকতো আবার চলে যেতো!

এখন আমি অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি। এখন কাপড়ের পাক পবিত্রতা নিয়ে খুব বেশি সন্দেহ হয়, যার কারনে ঠিক মতো ইবাদাত করতে পারি না।শুধু মনে হয় যেন গায়ে দেয়া কাপড়টা মানে নাপাক হয়ে গেছে।😟

এমন ও হয় যে এক দিনেই ৪/৫ সেট জামা কাপড় ধুয়ে দিতে হয় কোনো কারন ছাড়াই, আমি জানি যে কাপড়ে নাপাক কিছুই লাগেনি তারপরও ধু্য়ে দিতে হবে!! দেখা যায় মাঝ রাতে উঠে আামার শরিরের ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ পরিস্কার করতে হচ্ছে!
এছাড়াও আারো অনেক ধরনের সন্দেহ রোগে ভুগছি।যেমন নামাজ পড়া শেষ এরমধ্যেই মনে হয় নামাজ ৪ রাকাতে বদলে ৩ রাকাআত পড়েছি, তখন ওই নামাজ আবার পড়তে হয়! গত কালকে আসরের নামাজ আমি পাচবার(৫) পড়েছি! আবার মনে হয় আমি কোনো সূরা মনে হয় স্কিপ করেছি। এখন আমার স্বাভাবিক জিবন যাপন ব্যবহত হচ্ছে
প্রায় ৬/৭ মাস যাবত এই সমস্যায় ভুগছি এবং খুব কষ্ট হচ্ছে!!
এছাড়াও আরো অনেক সমস্যা আছে যেগুলো লিখে বোঝানো সম্ভব না! আমার শুচিবায়ু এখন ধর্মীয় দিকে টার্ন নিয়েছে!

এই ব্যাপারে অভিজ্ঞ কেউ থাকলে বা এই রোগ কারো থাকলে আমাকে একটু পরামর্শ দিয়ে যাবেন আশা করি, কেউ এড়িয়ে যাবেন না দয়া করে! এই রোগের স্থায়ি কোনো সমাধান আছে?

এই প্রশ্নের উত্তর :

আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দরভাবে গুছিয়ে লেখার জন্য। আপনার কথাগুলো আমি মন দিয়ে পড়েছি। আমি আপনার কষ্টের জায়গাগুলো অনুভব করেছি। আপনার জন্য রিকমেন্ডেশন থাকবে প্রথমে যেকোনো রোগ কে রোগ হিসাবে ধরা। আপনি আপনার পরিচয় গোপন রেখে তারপরে এই মেসেজটি লিখেছেন। সব থেকে ভালো যে আপনাকে সামনে এসে আপনার জন্য চিকিৎসা নিতে হবে। ওসিডি একটি রোগ যার ট্রিটমেন্ট রয়েছে। আপনি অনেকদিন ধরে এই সমস্যার ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন যা আপনার লেখার মাধ্যমে আমি পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পেরেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে আপনার চিকিৎসার জন্য আপনি এই প্রাথমিকভাবে উদ্যোগ নিচ্ছেন। আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ হবে একজন মনোচিকিৎসক এর কাছে যাওয়া এবং তার কাছে পরবর্তী চিকিৎসা নিয়া। মনে রাখবেন যেহেতু অনেকদিন ধরে আপনি সমস্যার ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন সুতরাং আপনার ট্রিটমেন্ট এ একটু বেশি সময় লাগতে পারে। ধৈর্য টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি আমাদের বাংলাদেশ ওসিডি সেন্টারে যোগাযোগ করতে পারেন এখানে ডক্টর রশিদুল হক স্যার ও আমি রাজু আকন আছি। আমাদের কাছ থেকে আপনি ঠিকমত কিছুদিন চিকিৎসা নিলে আপনি আপনার উন্নতি বুঝতে পারবেন আশা করি। পরবর্তীতে আপনার কাউন্সিলিং বা সাইকোথেরাপির দরকার হলে সেটিও আপনি আমাদের বাংলাদেশ ওসিডি সেন্টারে আমার কাছে পেয়ে যাবেন।
সর্বশেষে, আপনার কষ্টের জায়গাগুলোতে আমি সহানুভূতি প্রকাশ করি। এবং আপনার জন্য শুভকামনা।

To get more information read this article.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top