৯ মাস বয়সী শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ দ্রুত ঘটে। এই সময়ে সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করতে সুষম খাদ্য তালিকা থাকা দরকার। এ সময় মায়ের দুধের পাশাপাশি শক্ত ও আধা-তরল খাবার খাওয়ানো উচিত।
৯ মাসের বাচ্চার জন্য পুষ্টিকর খাবারের তালিকা
১. মায়ের দুধ:
- মায়ের দুধ এই সময়েও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ৩-৪ বার মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত।
২. চাল-ডালের খিচুড়ি:
- চাল, ডাল, সবজি, এবং সামান্য ঘি মিশিয়ে তৈরি করা খিচুড়ি বাচ্চার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ খাবার।
৩. ফলমূল:
৪. সবজি:
- আলু, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, লাউ ইত্যাদি নরম করে সেদ্ধ করে দিতে পারেন।
৫. ডিম:
- ডিমের কুসুম ভালোভাবে সেদ্ধ করে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। তবে প্রথমে অল্প পরিমাণে দিয়ে অ্যালার্জি আছে কিনা তা যাচাই করুন।
৬. মাছ:
- কাঁটাবিহীন ছোট মাছ যেমন রুই, কাতলা ইত্যাদি ভালোভাবে সেদ্ধ করে দিতে পারেন।
৭. দই:
- বাচ্চার হজম শক্তি বাড়াতে বাড়িতে তৈরি দই খাওয়ানো যেতে পারে।
৮. ফরমুলা দুধ:
- যদি মায়ের দুধ কম হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফরমুলা দুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
বাচ্চার খাবার খাওয়ানোর নিয়ম
১. অল্প করে শুরু করুন:
- প্রথমে অল্প পরিমাণ খাবার দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান।
২. একাধিক বার খাওয়ান:
- বাচ্চাকে প্রতিদিন ৫-৬ বার অল্প অল্প করে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
৩. নতুন খাবার ধীরে ধীরে পরিচয় করান:
- একসাথে একাধিক নতুন খাবার দেওয়া এড়িয়ে চলুন। নতুন খাবার খাওয়ানোর পর তার শারীরিক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করুন।
৪. খাবার মিহি করে দিন:
- খাবার যেন নরম এবং সহজপাচ্য হয় তা নিশ্চিত করুন।
৫. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
- বাচ্চার খাবার তৈরিতে এবং পরিবেশনে সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
১. লবণ ও চিনি যুক্ত খাবার। ২. মশলাদার খাবার। ৩. মধু (১ বছরের নিচে বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর)। ৪. গরু বা মহিষের দুধ। ৫. প্রক্রিয়াজাত খাবার।
উপসংহার
৯ মাসের বাচ্চার খাবার তালিকা তৈরি করতে হলে সুষম পুষ্টির কথা মাথায় রাখতে হবে। বাচ্চার শরীরের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, প্রোটিন, এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করুন। সময়মতো সঠিক খাবার দিয়ে বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অবদান রাখুন।